মেঘনা নদীর দূষণ নিয়ন্ত্রেণ আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে নায়াণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।  

মঙ্গলবার (২০ মে) পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং এর পরিচালক জনাব সৈয়দ ফরহাদ হোসেন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা সমম্বয়ে গঠিত টীম বভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। 

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং এর উপপরিচালক জনাব সৈদয় আহমেদ কবির এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক এ, এইচ, এম রাসেদ ও সহকারী পরিচালক জনাব মো: মোবারক হোসেন।

এ পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিল্প-কারখানা সমূহের উদ্যোক্তা কর্তৃক পরিবেশ সংক্রান্ত আইন মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে তাদের সক্ষমতা পর্যালোচনা করা। 

এ সময় চৈতি কম্পোজিট মিলস লি: এবং বসুন্ধরা পেপার মিলন লি: ইউনিট-০১ এর ইটিপি’র আউটলেট থেকে তরল বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

পরিদর্শনের সময় কারখানা সমূহের সামগ্রিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বায়ু ও পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ইটিপি’র কার্যকারিতা সরেজমিনে পরীক্ষা করা হয় এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জনাব সৈয়দ আহমেদ কবির বলেন, “শিল্পউন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা নিয়মিত পরিদর্শনের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করতে কাজ করছি।

এই ধরণের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের, পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং) সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, যাতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করি নির্বাচন এলেই একটি রাজনৈতিক দল তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়।

যারা ফিৎনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই।

তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আজমতে সাহাবা মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে বয়ান করার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এখানে এসেছি বিশিষ্ট আলেম যারা এখানে এসেছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করেনা তারা এখানে আছে।

যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। একারণে আমি এখানে এসেছি। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের নবীর (সাঃ) ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা মওদুদির ইসলামে বিশ্বাস করি না। 

তিনি বলেন, হাসিনার সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ছিল, মুসলিম বিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের নির্যাতন করেছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান হয়েছে আমরা তার সাক্ষী।

আমরা যেন এমন ভাবে রাজনীতি করি যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশে আদর্শিক রাজনীতি কয়েম করবো আমরা।

জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির জুনায়েদ আল হাবীব আল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানসহ হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি
  • বিএনপি কৃষকদের ফারমার্স কার্ড দিবে : সাখাওয়াত
  • তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে বন্দরে মহানগর বিএনপির কৃষক সভা
  • ১১২ টাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনে চাকরি পেলেন ১৪ জন
  • সোনারগাঁয়ের কাইকারটেক হাটে নির্বাচনী প্রচারণায় মামুন মাহমুদ 
  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান
  • রূপগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • তারুণ্যের চোখে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার
  • বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন না’গঞ্জ জেলা আঞ্চলিক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
  • নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ