রাজধানীর তেজগাঁও বিভাগের ছয়টি থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

মঙ্গলবার রাতে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তেজগাঁও থানায় ছয়জন, শেরেবাংলা নগর থানায় দু’জন, মোহাম্মদপুর থানায় ৪৬ জন, আদাবর থানায় ছয়জন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একজন ও হাতিরঝিল থানায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার সাঁড়াশি অভিযানে তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ৬৫ জনের মধ্যে নিয়মিত মামলার আসামি, তদন্তাধীন মামলার আসামি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি, মাদক কারবারি, পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, চোর, সন্ত্রাসী, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযুক্তরা রয়েছেন।

তালেবুর রহমান আরও জানান, তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো.

ইবনে মিজানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) তত্ত্বাবধানে তেজগাঁও বিভাগের ছয়টি থানায় নিয়মিত টহল ও বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

তিউনেসিয়ায় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খবর না দেখায় কারাদণ্ড

টেলিভিশনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন তিউনিসীয় বন্দীকে বাড়তি আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা এবং ওই বন্দীর আইনজীবী গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।

আইনজীবী আদেল সাগাইর বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রথমে দণ্ডবিধির ৬৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই ধারা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরে মামলাটির রাজনৈতিক দিকটি আড়াল করতে ওই ধারা পরিবর্তন করে জনসমক্ষে অশোভন আচরণের অভিযোগ আনা হয়।

তিউনিসিয়া লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের গাফসা শহর শাখা জানায়, ওই বন্দী তাঁর কারাকক্ষের টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। 

সাইদ ২০১৯ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০২১ সালে একচেটিয়াভাবে দেশটির সার্বিক ক্ষমতা দখল করেন। এর পর থেকে ডিক্রি দিয়ে শাসন করেছেন।

গত বছরের অক্টোবরে উত্তর আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পান কাইস সাইদ। তবে নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ