মদরিচের জায়গায় ২ হাজার কোটি টাকার মিডফিল্ডারকে কেন চান আলোনসো
Published: 21st, May 2025 GMT
কার্লো আনচেলত্তির জায়গায় রিয়াল মাদ্রিদ কোচের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বায়ার লেভারকুসেনের সদ্য বিদায়ী কোচ জাবি আলোনসো। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই নিজের ভবিষ্যৎ দল নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছেন আলোনসো। এর আগে দল গঠনের জন্য আলোনসোর দুজন খেলোয়াড়ের নাম জমা দেওয়ার কথা সামনে এসেছিল—মার্তিন জুবিমেন্দি ও ফ্লোরিয়ান ভির্টৎস।
এর মধ্যে জুবিমেন্দিকে দলে টানার ব্যাপারে আর্সেনাল নাকি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যে কারণে আলোনসোর পুরো মনোযোগ এখন ভির্টৎসের ওপর। যেকোনো মূল্যে তাঁকে দলে টেনে রিয়াল মিডফিল্ডের শক্তি বাড়াতে চান জাবি।
শেষ হতে যাওয়া মৌসুমে মিডফিল্ডে ব্যাপকভাবে ভুগেছে রিয়াল। টনি ক্রুস অবসর নিয়েছেন আগেই। লুকা মদরিচের পারফরম্যান্সেও বয়স এবং ছন্দহীনতা স্পষ্ট। ফলে নতুন মৌসুমে শক্তিশালী মিডফিল্ড গড়তে নতুন খেলোয়াড় কেনার বিকল্প নেই রিয়ালের। আর সে জন্য তরুণ, প্রাণবন্ত এবং লম্বা সময় থাকতে পারবেন, এমন কাউকেই চান জাবি। যেখানে তাঁর প্রথম পছন্দ ২২ বছর বয়সী ভির্টৎস।
আরও পড়ুনরিয়ালকে পছন্দের খেলোয়াড়ের নাম দিলেন সম্ভাব্য কোচ আলোনসো, কারা আছেন তালিকায়০২ মে ২০২৫স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মদরিচ হয়তো রিয়ালে আরও এক মৌসুম থাকবেন। আলোনসোও চান মদরিচ থাকুক। তবে সেপ্টেম্বরে ৪০ পেরোতে যাওয়া এই ক্রোয়াট তারকাকে পুরো মৌসুম এবং পুরো ৯০ মিনিট খেলানোর বাস্তবতা নেই।
বায়ার লেভারকুসেন ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসছেন জাবি আলোনসো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মদর চ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’