দেশের বাজারে সোনার দাম আরেক দফা বাড়ছে। এ দফায় ভরিতে সর্বোচ্চ দাম বাড়ছে ২ হাজার ৮২২ টাকা। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। নতুন এই দাম আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর কথা জানায়। বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে বিশুদ্ধ সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় নতুন করে দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

গত ২৩ এপ্রিল দেশে সোনার দাম ভরিতে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৪২ টাকা বেড়েছিল। তখন ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। দেশের বাজারে সেটিই ছিল সোনার সর্বোচ্চ দাম। আর সর্বশেষ ১৭ মে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ে। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের ১ ভরি সোনার দাম হয়েছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার। আজ পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।

বাজুসের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে কাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হবে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকা।

দেশের বাজারে আজ পর্যন্ত প্রতি ভরি হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৫ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭১৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট

এছাড়াও পড়ুন:

রড দিয়ে পেটানো ও ছুরিকাঘাতের ছয়দিন পর কলেজছাত্রের মৃত্যু

চট্টগ্রামে রড দিয়ে পেটানো ও ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার ছয়দিন পর এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত ওই ছাত্রের নাম ওয়াহিদুল আলম সাব্বির। তিনি নগরের হালিশর থানার নতুনবাজার এলাকার মোহাম্মদ এছহাকের ছেলে এবং চট্টগ্রাম আইডিয়াল টেকনিক্যাল স্কুলের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, এলাকাভিত্তিক কিশোর ও তরুণদের দু’পক্ষের বিরোধের জেরে এ মারামারির ঘটনা ঘটেছিল।

সাব্বিরের মামা শফিকুল ইসলাম জনি জানান, গত ১৬ মে দুপুরে নতুনবাজার এলাকায় মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে বের হওয়ার পর এলাকার সমবয়সী কিছু ছেলে সাব্বিরকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে রড দিয়ে বেধড়ক পেটায়। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে সেখানে ফেলে রেখে যায়। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে মারধরের শিকার হয়েছিল সাব্বির তা তিনি জানাতে পারেননি।

হালিশহর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ওই এলাকার কিশোর-তরুণদের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জেরে মারামারি হয়েছিল। সেখানে সাব্বিরকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারলে কি নিয়ে বিরোধ তা জানা যাবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ