প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘জেলা বিশেষজ্ঞ পুল’
Published: 22nd, May 2025 GMT
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘জেলা বিশেষজ্ঞ পুল’ গঠন করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মূলত, শিক্ষা কর্মকর্তা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের প্রতিটি জেলার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে। যারা শিক্ষক প্রশিক্ষণে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবেন।
বুধবার (২১ মে) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ও সমন্বয় অনুবিভাগের সহকারী সচিব মো.
এতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ করে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রের আগ্রহী ব্যক্তিরা এই বিশেষজ্ঞ পুলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে। পুলের সদস্যরা ৩ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ পুলে অন্তর্ভুক্তির জন্য শর্তাবলিতে বলা হয়েছে- প্রার্থীদের অবশ্যই যে কোনো বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা, সরকারি চাকরি সংক্রান্ত কার্যক্রম, বাজেট ব্যবস্থাপনা বা সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার যে কোনো একটি ক্ষেত্রে তাদের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রের আগ্রহী ব্যক্তিরা এই পুলে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পুলে অন্তর্ভুক্ত হলে সরকারি বিশেষজ্ঞরা সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী সম্মানী পাবেন। বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের প্রতিটি সেশনের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে সম্মানী দেওয়া হবে। তবে বেসরকারি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকাশনা, গবেষণাপত্র কিংবা জাতীয় দৈনিক বা স্বীকৃত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ বা নিবন্ধ থাকা বাধ্যতামূলক বলেও জানানো হয়েছে।
ঢাকা/হাসান//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব সরক র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করলেন এনসিপির নাহিদ-পাটওয়ারী
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে আজ বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে আজ সন্ধ্যায় যমুনায় যান তারা।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে একটি গুঞ্জন জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এতে দাবি করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করেছেন। এই দাবি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়া চিঠির এবং ২০১১ সালের একটি পুরনো সংবাদ আবার ছড়িয়ে পড়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এই দুটিই সঠিক নয়; জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
এর মধ্যে ২০১১ সালের ১৩ মে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘Prof Yunus resigns’। এতে বলা হয়, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সেই পুরনো প্রতিবেদনটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে— তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন— এমন ইঙ্গিতসহ আবার শেয়ার করা হচ্ছে।
তবে ডেইলি স্টার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এটি একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার—একটি পুরনো প্রতিবেদনকে পুনরায় পোস্ট করে তা মিথ্যা প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা হয়েছে।