মানিকগঞ্জে চাঁদাবাজি ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক দুই নেতা আশরাফুল ইসলাম রাজু ও মেহেরাব খানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে, দুজনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে সদর থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট করে সম্মানহানি এবং চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার দাশড়া গ্রামের আনিছুর রহমান সাব্বির নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় সাবেক ৬ এমপিসহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কাপাসিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা

মানিকগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইনস্পেক্টর মো.

আবুল খায়ের মিয়া বলেন, ‘‘চাঁদাবাজি ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় রাজু ও মেহরাব নামের দুই জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’’

ঢাকা/চন্দন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ