গরমে আরাম পাবেন ডালবাহার খেলে, দেখুন রেসিপি
Published: 22nd, May 2025 GMT
উপকরণ
মটরের ডাল ২০০ গ্রাম, মিষ্টিকুমড়া ১ ফালি, ডগাসহ মিষ্টিকুমড়ার শাক ১ আঁটি, পটোল ৩টি, কাঁকরোল ২টি, ঝিঙে ১টি, মুলা ২টি, মিষ্টি আলু ২টি, কাঁচা মরিচ ১০–১২টি, শুকনা মরিচ ২–৩টি, তেজপাতা ২–৩টা, পাঁচফোড়ন ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, হলুদ ১ চা-চামচ।
আরও পড়ুনগ্রেভি সসে চিকেন ডাম্পলিং–এর রেসিপি২০ মে ২০২৫প্রণালিমটর ডাল সিদ্ধ করে নিন। ওপরের সব সবজি ও শাক পরিষ্কার করে মাপমতো কেটে নিন। সিদ্ধ ডালে পরিমাণমতো পানি দিন। এবার কড়াইয়ে লবণ, হলুদ ও কাঁচা মরিচ ঢেলে দিয়ে ডালটাকে আগুনের আঁচে ফুটতে দিন। তারপর একে একে সবজিগুলো পাত্রে ঢালুন। সবজি আধা সিদ্ধ হয়ে এলে কড়াইয়ে কুমড়ার শাক ঢেলে দিন। এরপর পরিমাণমতো চিনি মেশান। সবজি ও শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে ডালটা নামিয়ে রাখুন। এবার অন্য একটা কড়াই চুলায় দিন। কড়াইতে ঘি ঢেলে আগুনের আঁচ দিন। ঘি গরম হয়ে গেলে তাতে শুকনা মরিচ, তেজপাতা ও পাঁচফোড়ন দিন। গন্ধ বের হলে আগে তুলে রাখা ডাল, শাক ও সবজি পরের পাত্রটিতে ঢালুন এবং নাড়ুন। ৩ থেকে ৪ মিনিট ধরে ফোটার সময় দিন। তারপর আগুন নিভিয়ে দিয়ে আরও ৩ থেকে ৪ মিনিট পাত্রটি ঢেকে রাখুন।
আরও পড়ুনকরলা ভাজি মুচমুচে করবেন যেভাবে, দেখুন রেসিপি১৯ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’