খুলনায় হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালের দিকে নগরের লবণচরা থানার শিপইয়ার্ড এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত যুবকের বয়স আনুমানিক ২৭ থেকে ২৮ বছর। তাঁর পরনে নীল রঙের জিন্স প্যান্ট ও সবুজ রঙের টি–শার্ট ছিল। স্থানীয় লোকজন কেউ তাঁকে চিনতে পারেননি। এ কারণে পুলিশ ধারণা করছে, অন্য কোনো স্থানে হত্যা করে ওই ব্যক্তিকে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে সিআইডি ও পিবিআইয়ের বিশেষ দল কাজ করছে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, লবণচরা থানার শিপইয়ার্ড মেইন গেটের সামনের এক বাড়ির মালিক কুকুরের ডাক–চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখেন হাত-পা বাঁধা এবং মাথা ও মুখমণ্ডল পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি লাশ পড়ে রয়েছে। এমন অবস্থা দেখে তিনি প্রথমে বিষয়টি লবণচরা থানায় জানান। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

লবণচরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, নিহত যুবকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাত ও পা বেঁধে তাঁকে প্রথমে জখম করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য দুর্বৃত্তরা পলিথিন মুড়িয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ