লুকা মডরিচ রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ক্লাব বিশ্বকাপ শেষে বার্নাব্যু ছাড়বেন তিনি। তার জায়গা পূরণে চেলসির আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজকে কেনার কথা ভাবছে লস ব্লাঙ্কোসরা। 

সংবাদ মাধ্যম কাদেনাসের দাবি করেছে, এনজোর সঙ্গে বায়ার লেভারকুসেনের এক্সেকুয়েল প্যালাসিওসের পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করছে লস ব্লাঙ্কোস বোর্ড। 

এনজোর রিয়াল মাদ্রিদে আসা কিংবা চেলসিতে থেকে যাওয়া অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। চেলসি তাকে ছাড়তে চায় না। দলটির কোচ এনজো মারেস্কা বলেছেন, এনজো চেলসির মূল খেলোয়াড়, অন্যতম অধিনায়ক। তাকে দল ছাড়বে না। 

তবে চেলসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাকা করতে না পারলে এনজো নিজেই ব্লুজ শিবির ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠতে পারে। আবার চেলসি ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে টিকে গেলে রদ্রিগো গোয়েস ও এনজোর মধ্যে অদলবদলের চুক্তি হতে পারে। কারণ রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডে নজর আছে চেলসির। 

কাতার বিশ্বকাপের পর বেনফিকা থেকে এনজো ফার্নান্দোকে ১২০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কিনেছিল চেলসি। তার রিলিজ ক্লজও ওটাই। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো রিয়ালে আসতে সম্মত হলে অন্তত ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে তবেই কিনতে হবে তাকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনজ ফ র ন ন দ জ ফ টবল দলবদল চ লস র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ