আনচেলত্তিকে বিদায় জানিয়ে যে বার্তা রিয়ালের
Published: 23rd, May 2025 GMT
যা আগে থেকেই জানা ছিল, সেটিই এবার আনুষ্ঠানিক রূপ পেল। দীর্ঘ ছয় মৌসুমের সফল অধ্যায়ের ইতি টানতে যাচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি। আগামীকাল শনিবার লা লিগার শেষ ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ডাগআউটে দাঁড়াবেন তিনি শেষবারের মতো। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে।
এতদিন আনচেলত্তির বিদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত হলেও ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা আসেনি। অবশেষে শুক্রবার রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ক্লাবের কিংবদন্তি কোচকে বিদায়ী বার্তা দিয়েছেন। ক্লাব মিডিয়াকে তিনি বলেন, ‘কার্লো আনচেলত্তি চিরকাল রিয়াল মাদ্রিদ পরিবারের অংশ হয়ে থাকবেন। আমরা গর্বিত যে, এমন একজন মহৎ কোচ আমাদের সঙ্গে ছিলেন, যিনি কেবল সাফল্যই আনেননি, বরং ক্লাবের আদর্শ ও মূল্যবোধও চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন।’
আনচেলত্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বিশেষ একটি বিদায়ী আয়োজনও করবে রিয়াল। বিদায়ী এই ম্যাচে থাকবে সংবর্ধনা ও আবেগঘন মুহূর্ত। রিয়ালের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ী কোচ হিসেবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছাড়বেন আনচেলত্তি। ইতালিয়ান এই কোচ দুই দফায় ছয় মৌসুমে রিয়ালকে এনে দিয়েছেন ১৫টি শিরোপা। এর মধ্যে ৩টি করে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান সুপার কাপ। আর ২টি করে জিতেছেন লা লিগা শিরোপা, কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ।
রিয়ালের আনচেলত্তি অধ্যায়ের পর দলটির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আরেক কিংবদন্তি জাবি আলোনসো। বায়ার লেভারকুসেনের কোচ হিসেবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দলকে এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগা শিরোপা এনে দিয়েছেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’