বগুড়ার আদমদীঘিতে পোলট্রি মুরগির খামারে ফের ঢুকে ২৬ দিন বয়সী এক হাজার ২০০ বাচ্চা পদদলিত করে মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর কলেজপাড়ায় পান্না পোলট্রির খামারে সোনালি জাতের এসব বাচ্চা মেরে ফেলা হয়। এর আগে গত ৬ মে এক হাজার বাচ্চা মেরে ফেলে তারা।

খামারের স্বত্বাধিকারী হারুনুর রশিদ জানান, নসরতপুর কলেজপাড়ায় তাঁর বাড়ির পাশে মুরগির খামার রয়েছে। এখানে দীর্ঘদিন ধরে সোনালিসহ বিভিন্ন জাতের মুরগির বাচ্চা কিনে লালন-পালন করে বাজারজাত করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা খামারের নেট কেটে ভেতরে ঢুকে পদদলিত করে সোনালি জাতের এক হাজার ২০০ বাচ্চা মেরে ফেলেছে।

এর আগে গত ৬ মে রাতে একই কায়দায় ১৫ দিন বয়সের এক হাজার মুরগির বাচ্চা মেরে ফেলে দুর্বৃত্তরা। মাত্র ১৭ দিনের ব্যবধানে দু’বার এমন ঘটনা ঘটায় তাঁর ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার তাঁর স্ত্রী শবনম মোস্তারি আদমদীঘি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আদমদীঘি থানার ওসি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। শত্রুতা করে এভাবে মুরগির বাচ্চা মেরে ফেলা ঠিক হচ্ছে না। অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগের ঘটনায় বগুড়ার আদালতে মামলা রয়েছে। সেটি পিবিআই তদন্ত করছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রগ র ব চ চ এক হ জ র আদমদ ঘ

এছাড়াও পড়ুন:

দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।

আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।

তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ