বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নান ও পরিবারের ৩৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Published: 24th, May 2025 GMT
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এসব হিসাবের মধ্যে শেখ আব্দুল হান্নানের নামে পাঁচটি, ছেলের নামে একটি এবং ৩২ টি ব্যাংক হিসাব স্ত্রীর নামে। এক কোটি ১৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩২২ টাকা রয়েছে এ সব হিসাবে।
শনিবার (২৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো.
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের পক্ষে কমিশনের উপ পরিচালক তানজিব হাসিব সরকার এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, শেখ আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধন, ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ নিজ নামে এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধানকালে দেখা যা, শেখ আব্দুল হান্নান তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তির নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে তা উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পরবে। এজন্য শেখ আব্দুল হান্নান এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের এসব স্থাবর সম্পদসমূহ জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ৫ মে শেখ আব্দুল হান্নান পরিবারের তিন সদস্যের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। পরদিন তার জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত।
ঢাকা/এম/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হ স ব অবর দ ধ পর ব র র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’