আইপিএলে কত টাকা বেতন পান ধারাভাষ্যকাররা
Published: 24th, May 2025 GMT
তাঁদের কণ্ঠে ক্রিকেট রং পায়, উত্তেজনায় বুঁদ হয় দর্শক। ক্রিকেটাররা মাঠে খেলেন, ব্যাট-বল হাতে লেখেন রোমাঞ্চকর সব গল্প। আর সেই গল্পগুলো প্রাণ পায় ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠে। মাইক হাতে যিনি যত ভালো সেই গল্প বলতে পারেন, ধারাভাষ্যকার হিসেবে তিনি তত জনপ্রিয়। আর জনপ্রিয়তা বেশি মানে সেই ধারাভাষ্যকারের চাহিদাও বেশি, ফলে তাঁকে সম্প্রচারকদেরও দিতে হয় অনেক অনেক টাকা।
আইপিএলে অবশ্য এমনিতেই টাকার ছড়াছড়ি। নিলামে কোটি কোটি টাকার খেলোয়াড় কেনাবেচা হয়। সেই খেলোয়াড়েরা যখন মাঠে পারফর্ম করেন, সেই খেলার ধারাবিবরণী দিতে গিয়ে ভাষ্যকারদের আয়ও কম হয় না। সুনীল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী, হার্শা ভোগলের মতো যাঁরা এরই মধ্যে ধারাভাষ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাঁরা আইপিএলে মাইক হাতে আয় করেন অনেক টাকা।
আরও পড়ুনভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুবমান গিল, কারা আছেন, কারা নেই৪ ঘণ্টা আগেআইপিএলে ধারাভাষ্যকারা আসলে কত টাকা আয় করেন, সম্প্রতি তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছেন ভারতের ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী, হার্শা ভোগলের মতো যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বেতনও বেশি। সিনিয়র এই ধারাভাষ্যকাররা আইপিএলে ম্যাচপ্রতি পান ৬ থেকে ১০ লাখ রুপি করে। অন্যদিকে জুনিয়র ধারাভাষ্যকার, যাঁরা এই পেশায় কিছুটা নতুন, তাঁরা ম্যাচপ্রতি ৩ লাখ ৫০ হাজার রুপির মতো পান।
সুনীল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী, হার্শা ভোগলের মতো যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বেতনও বেশি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পা পিছলে ট্রেনের নিচে সবজি বিক্রেতা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পাশাপাশি দুটি ট্রেন তুলনামূলক কম গতিতে চলছিল। হঠাৎ একটি ট্রেনের সামনে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। ট্রেনটি চলে যায় তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দিন ওরফে জালু (৪০)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের নিধনিয়া চর ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
দুর্ঘটনার পর জালাল উদ্দিনকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজন মালাকার।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, জালাল উদ্দিন এলাকায় কৃষিকাজ করেন এবং সেখান থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্রি করেন। তিনি প্রায়ই ট্রেনে চেপে শ্রীপুর যান এবং রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গতকাল দুপুরে শাকসবজি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর যান। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ধরতে রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি দৌড় দেন। এ সময় ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। সেটি ধরতে গিয়ে পাশের রেললাইনে থাকা ঢাকাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ট্রেনের নিচে পড়ে যান জালাল উদ্দিন।
নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী ও গফরগাঁও কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী জানান, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে জালাল উদ্দিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাঁর পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারাল।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক।