তাঁদের কণ্ঠে ক্রিকেট রং পায়, উত্তেজনায় বুঁদ হয় দর্শক। ক্রিকেটাররা মাঠে খেলেন, ব্যাট-বল হাতে লেখেন রোমাঞ্চকর সব গল্প। আর সেই গল্পগুলো প্রাণ পায় ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠে। মাইক হাতে যিনি যত ভালো সেই গল্প বলতে পারেন, ধারাভাষ্যকার হিসেবে তিনি তত জনপ্রিয়। আর জনপ্রিয়তা বেশি মানে সেই ধারাভাষ্যকারের চাহিদাও বেশি, ফলে তাঁকে সম্প্রচারকদেরও দিতে হয় অনেক অনেক টাকা।

আইপিএলে অবশ্য এমনিতেই টাকার ছড়াছড়ি। নিলামে কোটি কোটি টাকার খেলোয়াড় কেনাবেচা হয়। সেই খেলোয়াড়েরা যখন মাঠে পারফর্ম করেন, সেই খেলার ধারাবিবরণী দিতে গিয়ে  ভাষ্যকারদের আয়ও কম হয় না। সুনীল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী, হার্শা ভোগলের মতো যাঁরা এরই মধ্যে ধারাভাষ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাঁরা আইপিএলে মাইক হাতে আয় করেন অনেক টাকা।

আরও পড়ুনভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুবমান গিল, কারা আছেন, কারা নেই৪ ঘণ্টা আগে

আইপিএলে ধারাভাষ্যকারা আসলে কত টাকা আয় করেন, সম্প্রতি তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছেন ভারতের ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী, হার্শা ভোগলের মতো যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বেতনও বেশি। সিনিয়র এই ধারাভাষ্যকাররা আইপিএলে ম্যাচপ্রতি পান ৬ থেকে ১০ লাখ রুপি করে। অন্যদিকে জুনিয়র ধারাভাষ্যকার, যাঁরা এই পেশায় কিছুটা নতুন, তাঁরা ম্যাচপ্রতি ৩ লাখ ৫০ হাজার রুপির মতো পান।

সুনীল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী, হার্শা ভোগলের মতো যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বেতনও বেশি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ