রাজশাহীতে মাদক মামলায় বাবা ও ছেলেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন— রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার সারেংপুর জামাতির মোড় এলাকার সাইফুল ইসলাম (৫৫) ও তার ছেলে আশিক হোসেন (২৬)।

শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজশাহীর জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। 

রাজশাহী জেলা পুলিশের আদালত পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ১১ মার্চ রাতে র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল সাইফুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যান। পরে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৬ কেজি ৭০০ গ্রাম হেরোইন ও নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। এ সময় চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে সাইফুলের ছেলে আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন ১২ মার্চ র‌্যাবের পক্ষ থেকে গোদাগাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় সাইফুল ইসলামকে পলাতক আসামি করা হয়েছিল। পরে বাবা ও ছেলেকে অভিযুক্ত করেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তি-তর্ক শেষে শনিবার আদালত এ রায় দিলেন।

আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, রায় ঘোষণার সময় বাবা ও ছেলে আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে দুজনকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) 'কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির' প্রধান করা হয়েছে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে। একই কমিটির সেক্রেটারি করা হয়েছে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাকে।

আজ মঙ্গলবার দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির সার্বিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা, প্রার্থী বাছাই, মাঠ পর্যায়ের সমন্বয়, আইনি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম, মিডিয়া ও প্রচারণা, এবং প্রশিক্ষণ ও মনিটরিং এর লক্ষ্যে 'কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি' গঠন করা হয়েছে।

এনসিপির 'কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির' সদস্যরা হলেন আরিফুল ইসলাম আদীব, মাহবুব আলম মাহির, খালেদ সাইফুল্লাহ, এহতেশাম হক, আব্দুল্লাহ আল আমিন, আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, জহিরুল ইসলাম মুসা, হুমায়রা নূর, সাইফুল্লাহ হায়দার ও মো. তারিকুল ইসলাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ