Risingbd:
2025-05-25@16:26:28 GMT

চলছে কর্মবিরতি, অচল এনবিআর 

Published: 25th, May 2025 GMT

চলছে কর্মবিরতি, অচল এনবিআর 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলমান কর্মবিরতির কারণে দেশের রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রমে চরম অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সোমবার (২৬ মে) আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ছাড়া সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করবেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এনবিআর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে থাকায় আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কর্মবিরতির ফলে প্রতিদিন রাজস্ব আদায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে শুল্ক আদায়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। বন্দরে পণ্য খালাস ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ধীরগতির হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এনবিআরকে বিভক্ত করা হলো

সিপিডির গবেষণা: ২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। সংস্কার ঐক্য পরিষদের চার দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জারি করা অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করতে হবে। অংশীজনের মতামত নিয়ে টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

সংস্কার ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অসহযোগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে ২১ মে থেকে। এর ধারাবাহিকতায় আজ ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দেশের সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। ২৬ মে থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করা হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এনবিআরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় দীর্ঘমেয়াদি কর্মবিরতি থাকলে জাতীয় অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। রাজস্ব ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়ন ব্যাহত করতে পারে এবং উন্নয়ন খাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে। এ কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে অবিলম্বে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। অন্যথায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবকিছুতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (ইআরডি) সম্প্রতি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। যার একটি রাজস্ব নীতি অপরটি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা।এর প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কয়েকদিন ধরে নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার তাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া না দেওয়ায় এবার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণার মাধ্যমে কর্মবিরতি পালন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

ঢাকা/এনএফ/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনব আর কর মকর ত ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

চলছে কর্মবিরতি, অচল এনবিআর 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলমান কর্মবিরতির কারণে দেশের রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রমে চরম অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সোমবার (২৬ মে) আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ছাড়া সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করবেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এনবিআর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে থাকায় আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কর্মবিরতির ফলে প্রতিদিন রাজস্ব আদায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে শুল্ক আদায়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। বন্দরে পণ্য খালাস ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ধীরগতির হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এনবিআরকে বিভক্ত করা হলো

সিপিডির গবেষণা: ২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। সংস্কার ঐক্য পরিষদের চার দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জারি করা অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করতে হবে। অংশীজনের মতামত নিয়ে টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

সংস্কার ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অসহযোগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে ২১ মে থেকে। এর ধারাবাহিকতায় আজ ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দেশের সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। ২৬ মে থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করা হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এনবিআরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় দীর্ঘমেয়াদি কর্মবিরতি থাকলে জাতীয় অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। রাজস্ব ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়ন ব্যাহত করতে পারে এবং উন্নয়ন খাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে। এ কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে অবিলম্বে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। অন্যথায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবকিছুতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (ইআরডি) সম্প্রতি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। যার একটি রাজস্ব নীতি অপরটি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা।এর প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কয়েকদিন ধরে নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার তাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া না দেওয়ায় এবার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণার মাধ্যমে কর্মবিরতি পালন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

ঢাকা/এনএফ/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোমবারের কর্মসূচি প্রত্যাহার এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
  • এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সোমবারের কর্মসূচি প্রত্যাহার