Risingbd:
2025-08-01@18:26:21 GMT

চলছে কর্মবিরতি, অচল এনবিআর 

Published: 25th, May 2025 GMT

চলছে কর্মবিরতি, অচল এনবিআর 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলমান কর্মবিরতির কারণে দেশের রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রমে চরম অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সোমবার (২৬ মে) আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ছাড়া সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করবেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এনবিআর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে থাকায় আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কর্মবিরতির ফলে প্রতিদিন রাজস্ব আদায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে শুল্ক আদায়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। বন্দরে পণ্য খালাস ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ধীরগতির হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এনবিআরকে বিভক্ত করা হলো

সিপিডির গবেষণা: ২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। সংস্কার ঐক্য পরিষদের চার দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জারি করা অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করতে হবে। অংশীজনের মতামত নিয়ে টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

সংস্কার ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অসহযোগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে ২১ মে থেকে। এর ধারাবাহিকতায় আজ ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দেশের সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। ২৬ মে থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করা হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এনবিআরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় দীর্ঘমেয়াদি কর্মবিরতি থাকলে জাতীয় অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। রাজস্ব ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়ন ব্যাহত করতে পারে এবং উন্নয়ন খাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে। এ কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে অবিলম্বে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। অন্যথায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবকিছুতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (ইআরডি) সম্প্রতি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। যার একটি রাজস্ব নীতি অপরটি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা।এর প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কয়েকদিন ধরে নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার তাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া না দেওয়ায় এবার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণার মাধ্যমে কর্মবিরতি পালন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

ঢাকা/এনএফ/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনব আর কর মকর ত ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।

বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’

গণজমায়েতে র‌্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ