জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ছোট ছোট মতপার্থক্য দূরে রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্ট আমাদের লড়াই-সংগ্রাম শেষ হয়েছে। কিন্তু, একটা পক্ষ সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, ষড়যন্ত্র করছে।” 

রবিবার (২৫ মে) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এই পথসভার আয়োজন করে।

আরো পড়ুন:

‘ইন্টেরিম ৬২৬ জনের লিস্ট কোথায়?’ নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারে হাসনাতের প্রশ্ন

হাসনাত আবদুল্লাহ
আ.

লীগের অর্থ কাঠামো ধ্বংস ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “সরকারকে বিচার কার্যক্রম, সংস্কার কার্যক্রম ও নির্বাচনী রোডম্যাপ সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করতে হবে। আমরা মুজিববাদী সংবিধান চাই না। এটি সংস্কার করে অবিলম্বে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হয়, এমন সংবিধান বাস্তবায়ন চাই। সাম্য ও ন্যায্যতার বাংলাদেশ চাই, যেখানে নাগরিকের কাছে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা থাকবে।”

অসাম্প্রদায়িক নাম দিয়ে ধর্মহীনতার বাংলাদেশ পরিচালনার চেষ্টা করা হয়েছে বলে পথসভায় মন্তব্য করেন এনসিপির এ নেতা। তিনি বলেন, “আমরা চাই পরিবর্তিত বাংলাদেশ হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। এখানে সবাই মিলেমিশে বসবাস করব।”

বাংলাদেশের প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “পুলিশ বাহিনীর ওপর অনেকে বিরক্ত, কিন্তু পুলিশকে কারা ব্যবহার করেছে, সেটা নিয়ে কেউ কথা বলে না। পুলিশের প্রমোশন নিয়ে কেউ কথা বলে না, পুলিশের সংস্কার নিয়ে কেউ কথা বলে না। আমরা এমন একটা বাংলাদেশ গড়ব, যেখানে পুলিশকে কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। প্রশাসনকে জনতার কাতারে নেমে এসে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে।”

পথসভায় আরো বক্তব্য দেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা। উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মাহমুদা আলম, মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক আরমান হোসেন, আজিজুর রহমান ও কেন্দ্রীয় সদস্য জোবায়ের আলম। পথসভা শেষে মইজ্জারটেক এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

দুপুর ১২টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজারে লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন। তিনি এ সময় বলেন, “নতুন বাংলাদেশে একসঙ্গে দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কেউ একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হতে পারবেন না।”

জাতীয় নাগরিক পার্টি চট্টগ্রামের মুখপাত্র আরফাত আহমেদ রনি জানান হাসনাত আবদুল্লাহ ও তাসনিম জারা আনোয়ারা ও বাশখালী পথসভা শেষ করে সাতকানিয়া (কেরানীহাট) এর দিকে যাত্রা করেছেন।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।

লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি’
  • কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা