বরগুনায় গ্রামবাসীর সঙ্গে পাল্টাপাল্টি গুলি, ডাকাত নিহত
Published: 25th, May 2025 GMT
বরগুনার বামনায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসী টের পেয়ে ডাকাতদলকে ধাওয়া দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এ সময় গ্রামবাসীর লাইসেন্সকৃত বন্দুকের গুলিতে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আজ রবিবার (২৫ মে) সকাল ১১টায় বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ওই ডাকাত মারা যায়। নিহত ডাকাতের নাম মো.
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (২৪ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের আফজাল মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসী টের পেয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। এ সময় সংঙ্গবদ্ধ ডাকাতদল গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সুমন জমাদ্দারের লাইসেন্সকৃত বন্দুক থাকায় তিনিও পাল্টা গুলি চালান। এ সময় ডাকাত আনোয়ার গুলিবিদ্ধ হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
মাদকসেবন নিয়ে ঝগড়ায় শুভকে খুন করে বন্ধুরা : পুলিশ
নদীতে ভাসছিল তরুণের হাত-পা বাঁধা মরদেহ
বিষয়টি বামনা থানায় জানালে পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ আনোয়ারকে উদ্ধার করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অস্ত্র ও গুলি জব্দ করে পুলিশ। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রবিবার (২৫ মে) সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সুমন মজুমদার জানান, এলাকাবাসীর চিৎকার ও ডাকাতের গুলির শব্দে তিনি লাইসেন্সকৃত বন্দুক নিয়ে বাহিরে নেমে ধাওয়া করলে ডাকাতরা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় তিনিও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা ডাকাতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। গ্রামবাসীর জীবন রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় বলেও জানান সুমন মজুমদার।
এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, নিহত ডাকাত আনোয়ার হোসেনের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ১১টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ৪টি মোবাইল পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/ইমরান/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত গ র মব স উপজ ল এ সময়
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’