যশোরে মাকে পিটিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি পালিত ছেলের
Published: 25th, May 2025 GMT
যশোরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন পালিত ছেলে শেখ শামস (২২)। আজ রোববার বিকেলে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রহমত আলী তাঁর জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে তাঁকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
যশোর শহরের মণিহারের ফলপট্টিতে নিজের শামস মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন খালেদা খানম (৫৫) নামের ওই নারী। তিনি শহরের মণিহার প্রেক্ষাগৃহ এলাকার শেখ শাহজাহানের মেয়ে। গতকাল শনিবার বিকেলে শোবার ঘর থেকে তাঁর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় খালেদার পালিত ছেলে শেখ শামসকে আটক করে পুলিশ।
খালেদা খানমের কোনো সন্তান না থাকায় তিনি তিন মাস বয়স থেকে শামসকে সন্তান হিসেবে লালনপালন করে আসছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত খালেদা খানমের ভাতিজা জুবায়ের তানভির সিদ্দিকী হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত একমাত্র আসামি শেখ শামস। তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতে পাঠালে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
জানতে চাইলে যশোর আদালতের পরিদর্শক রোকসানা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, যশোর কোতোয়ালি থানা থেকে আজ দুপুরে আসামি শামসকে আমলি আদালতে আনা হয়। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শামস মার্কেটের নিচতলায় ফলের দোকান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে ফলপট্টির দোকানিরা মোটরের লাইনে পানি না পেয়ে খালেদাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ঘর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চলে যান। পরে আবার দুপুরে ডাকাডাকি করেন। ভেতর থেকে কেউ দরজা না খোলায় দোকানিরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর–৯৯৯–এ কল করেন। পরে পুলিশ গিয়ে ডাকাডাকি করলে শামস দরজা খুললে খালেদার লাশ উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত বলেন, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শামস মাদকাসক্ত। বিভিন্ন সময়ে মাদকের টাকার জন্য তিনি তাঁর মাকে মারধর ও বাড়ির আসবাব ভাঙচুর করতেন। মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে মাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। তবে জবানবন্দিতে শামস কী বলেছেন, তা নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।