অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমার নায়িকা মৌসুমী। মাঝে ছিলেন দুই বছরের বিরতিতে। কিছুদিন আগে গুঞ্জন ওঠে- অভিনয়কে ইতি জানিয়েছেন তিনি। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি ঢালিউডের প্রিয়দর্শিনী। সেময়ই তার ভক্তরা ধরে নিয়েছিলেন, একদিন হঠাৎ করেই আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে বলে উঠবেন ‘আমি ফিরেছি।’ অবশেষে সেটাই হল। অবশেষে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন মৌমুমী।

মৌসুমী বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। দুই বছর ধরে আছেন সেখানে। মায়ের অসুস্থতা আর মেয়ের পড়াশোনার কারণে পরিবারকে সময় দিচ্ছেন। এর ফাঁকে ‘পিএস চাই সুন্দরী’ নামে টেলিছবির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন মৌসুমী। সম্প্রতি ভার্জিনিয়ার বেইলি স্ট্রিম লং আইল্যান্ডে হয়েছে টেলিছবিটির শুটিং।

এতে মৌসুমীর সহশিল্পী ছিলেন হাসান জাহাঙ্গীর ও আকাশ রহমান। রোববার একটি ভিডিও শেয়ার করে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি হাসান জাহাঙ্গীর।

জানা গেছে, এটিভির (ইউএসএ) ঈদ আয়োজনে টেলিছবিটি প্রচার হবে। এ টেলিছবি ছাড়াও একই চ্যানেলের একটি নাটকে দেখা যাবে মৌসুমীকে।

মৌসুমী বলেন, ‘বেশ বিরতির পর শুটিংয়ে ফিরতে পেরে ভালোই লেগেছে। অন্যরকম গল্পের কাজ এটি। বিস্তারিত বলতে চাই না। আমি চাই দর্শক এটি পর্দায় দেখুক। রাত জেগে শুটিং করেছি। টেলিছবিটি দর্শকদের ভালো লাগলে সব কষ্ট সার্থক হবে।’

প্রসঙ্গত, মৌসুমীর মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা সর্বশেষ সিনেমা ‘সোনার চর’। এতে তিনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন ওমর সানী, জায়েদ খান, জান্নাতুল স্নিগ্ধাসহ আরও অনেকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ