সাভারে বাসে এক নারীর সোনার চেইন চুরির চেষ্টাকালে ৬ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গল্পের ছলে তারা ওই নারীর গলা থেকে চেইনটি খুলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এরা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্য। 

রবিবার (২৫ মে) রাত ৯ টায় এ তথ্য জানান সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিনুর কবির। এর আগে দুপুরে তাদের সাভার মডেল থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, গত শনিবার সকালে আশুলিয়ার বিশমাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকাগামী সাভার পরিবহনের বাসে উঠেন ভুক্তভোগী নারী সালমা বেগম ও তার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন। তখনই সেই বাসে চোর চক্রের সদস্যরা উঠে পড়েন। বাসে উঠেই সালমা বেগমের সাথে গল্প করা শুরু করেন তারা। পরে বাসটি সাভারের পাকিজা মোড় এলাকায় পৌঁছলে তারা কৌশলে গলায় হাত দিয়ে চেইন খুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার করলে পাশে থাকা দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বাসটিকে থামার জন্য সিগন্যাল দেয়। পরে বাস থেকে এই চক্রের ৬ নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ভুক্তভোগীর নারীর ছেলে সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়রুন্নাহার ওরফে খায়রুন্নাহার (২৩), লালচান বেগম (৩০), তাহমিনা বেগম (২৫), নাছিমা আক্তার তাসলিমা (২৫), আলেক চান (২৫) ও হবিগঞ্জ জেলার জহুরা খাতুন (৩৬)। বর্তমানে তারা সকলেই গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার চান্দুরা এলাকায় বসবাস করেন।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো.

শাহীনুর কবির বলেন, ‘‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা মূলত সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য। সড়কে যেন সকলে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্য আমরা সচেষ্ট আছি।’’ 

ঢাকা/সাব্বির/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করার খবর পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে আটটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে মিছিল করছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এ সময় তাঁরা ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’ ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এমন স্লোগান দেওয়া হয়।

বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসলাম চৌধুরী দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন। তিনি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে কারাবন্দী হন। দীর্ঘ সময় তিনি জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। অথচ এখন সুসময়ে দল তাঁকে বঞ্চিত করছে। তাঁরা দলের এ সিদ্ধান্ত মানেন না। তাই প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালীন প্রথম আলোকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তাঁরা যে যাঁর জায়গা থেকে মহাসড়কে উঠে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁরা অন্তত সীতাকুণ্ডের ৩০টি স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

ঘোষিত প্রার্থী কাজী মুহাম্মদ সালাউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন বিধায় তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন।

ফৌজদারহাট পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের মাথা, ফৌজদারহাট, জলিল গেইট, ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, কদমরসুল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ রয়েছে। ফলে উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ। পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ