ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ সোমবারের দুইজন রেডক্রস কর্মী, এক সাংবাদিক ও বেশ কয়েকজন শিশুও নিহত হয়। তাদের মধ্যে গাজার ১১ বছর বয়সী সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিন হাম্মাদও ছিল। খবর আল জাজিরার
এদিকে গতকাল রোববার স্পেনের মাদ্রিদ শহরে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল রাষ্ট্র নিয়ে সমাধানের জন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২০টি ইউরোপীয় দেশ ও আরব দেশের উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকরা গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুলে আগুন ধরে যায়। পরে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
স্কুলটিতে গাজার অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। টেলিগ্রামে হালনাগাদ পোস্টে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, হামলার পর তাদের উদ্ধারকর্মীরা স্কুলটি থেকে অন্তত ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। হামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি হামলায় স্কুল ভবনের প্রায় অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন অনেকে। এই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা।
কয়েক দিন ধরে গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল রোববার গাজাজুড়ে হামলায় অন্তত ৫৭ জনের নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে স্থানীয় চিকিৎসা সূত্রগুলো।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজায় প্রায় ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু বেশি। এই সময়ে আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ।
গতকাল গাজার জনসংযোগ কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, উপত্যকার ৭৭ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
তিউনেসিয়ায় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খবর না দেখায় কারাদণ্ড
টেলিভিশনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন তিউনিসীয় বন্দীকে বাড়তি আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা এবং ওই বন্দীর আইনজীবী গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।
আইনজীবী আদেল সাগাইর বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রথমে দণ্ডবিধির ৬৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই ধারা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরে মামলাটির রাজনৈতিক দিকটি আড়াল করতে ওই ধারা পরিবর্তন করে জনসমক্ষে অশোভন আচরণের অভিযোগ আনা হয়।
তিউনিসিয়া লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের গাফসা শহর শাখা জানায়, ওই বন্দী তাঁর কারাকক্ষের টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
সাইদ ২০১৯ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০২১ সালে একচেটিয়াভাবে দেশটির সার্বিক ক্ষমতা দখল করেন। এর পর থেকে ডিক্রি দিয়ে শাসন করেছেন।
গত বছরের অক্টোবরে উত্তর আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পান কাইস সাইদ। তবে নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।