মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশের ভেতর জুতা ও টি-শার্টের মতো পণ্য উৎপাদন করতে নয় বরং তাঁর শুল্কনীতির লক্ষ্য দেশে ট্যাংক ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকে উৎসাহিত করা।

গতকাল রোববার নিউ জার্সিতে এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি তাঁর অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের গত ২৯ এপ্রিল করা মন্তব্যের সঙ্গে একমত।

সেদিন বেসেন্ট বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল শিল্পে বড় ধরনের প্রসার অপরিহার্য নয়। এই মন্তব্যের পর ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেক্সটাইল অর্গানাইজেশনস অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এখানে জুতা আর টি-শার্ট বানাতে চাইছি না। আমরা সামরিক সরঞ্জাম বানাতে চাই। বড় বড় জিনিস বানাতে চাই। আমরা কম্পিউটার দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি তৈরি করতে চাই।’

‘সত্যি বলতে, আমি টি-শার্ট বা মোজা বানাতে চাই না। এসব আমরা অনায়াসেই অন্য জায়গায় তৈরি করতে পারি। আমরা যা তৈরি করতে চাই, তা হলো চিপস, কম্পিউটার আরও অনেক কিছু—ট্যাংক ও জাহাজও।’

বড় পরিসরে শুল্ক আরোপ করে বিশ্ববাজারে আলোড়ন তোলা ট্রাম্প গত শুক্রবার আবারও কড়া বাণিজ্যনীতি গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আরও পড়ুনইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প২৪ মে ২০২৫

আগামী ১ জুন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চান তিনি। পাশাপাশি অ্যাপলকে সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা বিদেশ থেকে যেসব আইফোন কিনছেন, সেগুলোর ওপরও তিনি ২৫ শতাংশ শুল্ক বসাতে পারেন।

আরও পড়ুনট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আয় কতটা বাড়ল৩০ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ