বরখাস্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের যবিপ্রবিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
Published: 26th, May 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নানা অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে অতি জরুরি প্রয়োজনে তাদের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ বা অবস্থান করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি লাগবে।
যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০৬ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
উপাচার্য বলেন, “অনেক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবাধে চলাফেরা, মিটিং ও সেমিনার করে বেড়াচ্ছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ। বরখাস্তদের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ বা অবস্থান করতে পারবে না।”
আরো পড়ুন:
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ‘নাকাল’ কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা থাকছে না
তিনি বলেন, “কেউ জরুরি প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ বা অবস্থান করতে চাইলে রেজিস্ট্রার বরাবর যথোপযুক্ত কারণ দর্শানোর মাধ্যমে লিখিত আবেদন করতে হবে। রেজিস্ট্রার অনুমতি দিলে সেই কারণের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।”
গত শুক্রবার (২৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) জাস্ট রোবো সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত রোবো টেক অলিম্পিয়াডে উপস্থিত ছিলেন অনিয়ম ও দূর্নীতির দায়ে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত বরখ স ত প রব শ ন করত
এছাড়াও পড়ুন:
আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হাসান খন্দকার (৩৮) উপজেলার নিহালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রচারের হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
শিবালয় থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, প্রায় এক মাস ধরে হাসান ভুক্তভোগীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে জানাচ্ছেন, তাঁর কাছে নারীর আপত্তিকর কিছু ভিডিও ও ছবি আছে। ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে এসব ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে গিয়ে হাসান আবার হুমকি দেন। ওই নারী এত টাকা দিতে অস্বীকার করলে হাসান তাঁর বাড়ির দরজা ও জানালা ভাঙচুর করেন। চাহিদামতো টাকা না দিলে ফেসবুকে আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এর পর থেকে ম্যাসেঞ্জারে নিয়মিত একই হুমকি দিচ্ছিলেন হাসান।
এ ঘটনায় গত রোববার রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে হাসানকে আসামি করে শিবালয় থানায় মামলা করেন। গতকাল সোমবার ভোরে পুলিশ উপজেলার ডাক্তারখানা এলাকা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবালয় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। সোমবার বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।