মুম্বাইয়ে ১০৭ বছরের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টি, রেড অ্যালার্ট জারি
Published: 26th, May 2025 GMT
ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে পড়েছে ভারতের মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাই। আজ সোমবার শহরটিতে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মুম্বাইয়ে ১০৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হলো। বৃষ্টির কারণে শহরে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু মুম্বাইয়ের দিকে অগ্রসর হয়েছে। সাধারণত ১১ জুন মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটে। অর্থাৎ এবার ১৬ দিন আগেই বর্ষাকাল এসেছে।
বৃষ্টিপাতের রেকর্ড
টানা ভারী বৃষ্টিতে মুম্বাইয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এবারের বৃষ্টিপাত ১৯১৮ সালের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
বৃহনমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (বিএমসি) রেকর্ড অনুযায়ী, গতকাল রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত দক্ষিণ মুম্বাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে কলাবা অবজারভেটরির তথ্য অনুযায়ী, এ সময় মুম্বাইয়ে সর্বোচ্চ ২৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯১৮ সালের মে মাসে। তখন ২৭৯ মিলিমিটার রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
৭৫ বছরের মধ্যে আগাম বর্ষাকাল
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মুম্বাইয়ে সাধারণত বর্ষা মৌসুম শুরু হয় ১১ জুন। গত বছর শুরু হয়েছিল ৬ জুন। কিন্তু গতকাল রোববার (২৫ মে) রাত থেকে বৃষ্টিপাতের কারণে মুম্বাইয়ে ৭৫ বছরের মধ্যে আগাম বর্ষা শুরু হয়ে গেল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞানী সুষমা নায়ার পিটিআইকে বলেছেন, ২৬ মে মুম্বাইয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে মৌসুমি বায়ু বয়ে গেছে। গত ৭৫ বছরে এটিই সবচেয়ে আগেভাগে বর্ষা আসার রেকর্ড।
বৃষ্টির কারণে মুম্বাই, থানে, রায়গড় এবং রত্নগিরিতে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া কর্ণাটক, কেরালা ও তামিলনাডুর কিছু অংশেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারি বৃষ্টির কারণে মুম্বাইয়ের অর্লি মেট্রো স্টেশনে পানি উঠে গেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মুম্বাইয়ের অর্লি পাতাল রেলস্টেশনে পানি উঠে গেছে। শুধু স্টেশনের ফটকে নয়, মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এবং মেট্রোতে ওঠার জন্য অপেক্ষা করার জায়গাও পানিতে ভেসে গেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি