নাটোরের বড়াইগ্রামে সরকারি প্রকল্পের অধীনে নির্মিত কাঁচা রাস্তার মাটি ধসে চাপা পড়ে মোস্তাকিন হোসেন (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বাগডোব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মোস্তাকিন খাকসা পশ্চিমপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে। সে বনলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় আবু তাহের ও শাকিল নামে দুই শিশু আহত হয়েছে।

সদর ইউনিয়নের বাগডোব গ্রামে মাটি কেটে সরকারি নতুন কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছিল। ফলে রাস্তার পাশে গর্তের সৃষ্টি হয়। সেই গর্তে খেলা করছিল মোস্তাকিন হোসেনসহ কয়েক শিশু। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে নতুন রাস্তার পাড়ের মাটির নিচে চাপা পড়ে মোস্তাকিন হোসেন মারা যায়। আহত অবস্থায় শাকিল ও আবু তাহেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সারাদেশে যৌথবাহিনীর হাতে আটক ৩৯০ জন

সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। চলতি মাসের ২২ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত অভিযানে ৩৯০ জনকে আটক করা হয়েছে। 

আজ শুক্রবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক ৩৯০ জনের মধ্যে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, চোরাকারবারী, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, অপহরণকারী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্ত রয়েছেন। এসব অপরাধীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। 

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটকৃতদের কাছ থেকে ২১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৯৯টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৬টি ককটেল বোমা, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, মোটরসাইকেল, চোরাই মোবাইলফোন, ওয়াকি-টকি, পাসপোর্ট, জালনোট ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিল্পাঞ্চলসমূহে সম্ভাব্য অস্থিরতারোধে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমঝোতার মাধ্যমে বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিতে সেনা টহলদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

এছাড়াও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসা অস্থায়ী পশুরহাটে সার্বক্ষণিক নজরদারী, নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি ঈদযাত্রাকে সহজ করতে নির্বিঘ্নে সড়কে যান চলাচল নিশ্চিতকরণ ও টিকিট কালোবাজারি রোধকল্পে সেনাবাহিনী বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ