একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) যেসব ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনো খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর যেসব দল খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ করেছে, তাদের দেওয়া হবে বিপিএলের টিকিট বিক্রি থেকে আয়ের একটি অংশ। আজ এক সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।  

আরও পড়ুন৪২৬ রানে ‘মিস্টার এক্সট্রা’ ৯২, তাড়া করতে নেমে ২ রানে অলআউট৩ ঘণ্টা আগে

বিপিএল নিয়ে বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রতি আসরেই দেখা যায়, বিপিএল শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু বিতর্ক শেষ হচ্ছে না। এবার বিপিএল চলাকালে পারিশ্রমিক নিয়ে সবচেয়ে বেশি জটিলতায় পড়েছিল দুর্বার রাজশাহী। এ ছাড়া আরও দু–একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিয়েও একই প্রশ্ন ওঠে। খেলোয়াড়দের অনুশীলন বর্জনের মতো ঘটনাও ঘটে। একটি ম্যাচে বিদেশি ক্রিকেটারদের ছাড়াই খেলতে নামতে হয়েছিল দুর্বার রাজশাহীকে।  

বিপিএল শেষ হয়ে যাওয়ার প্রায় মাস তিনেক পরও পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতা কাটেনি। ফলে আজ সভায়ও আলোচনার মূল বিষয় ছিল ১১তম বিপিএলে খেলা দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের বকেয়া অর্থ এবং রাজস্ব বণ্টনের বিষয়।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদল ও বাম জোটের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ অব্যাহত রেখেছে: ছাত্রশিবির

ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শনিবার সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বিবৃতিতে বলেছেন, নব্য ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য, ছিনতাই, সিট দখল, অপপ্রচার, ট্যাগিং, র‌্যাগিং ও হামলাসহ অপরাধমূলক সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ও কক্সবাজার পলিটেকনিক, সরকারি গ্রাফিক্স আর্টস কলেজ, কুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির উদাহরণ তৈরি করেছে। 
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ভর্তিচ্ছুদের জন্য স্থাপিত শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে বিবৃতি বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ ও রংপুরেও বাঁধা দিয়েছে। শুক্রবার ফরিদপুরে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় কলেজছাত্রীকে নির্যাতন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নারীবাদীরা ছাত্রদলের এ ধরনের গুরুতর অপরাধে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় দুই নারী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করার হুমকি দেয় ছাত্রদল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ছাত্রদল ও বাম জোটের ট্যাগিং ও দায় চাপানোর রাজনীতিও চলছে পুরনো কায়দায়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে’- লিখে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদল নেতা আহনাফ তাহমিদ অর্জন। লাশের রাজনীতির বৈধতার বয়ান উৎপাদনে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার ইব্রাহিম আবরার ফাহাদের হত্যা জায়েজ ছিল বলে অভিমত দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ