সালমান খানের সময় ভালো যাচ্ছে না। বক্স অফিসে টানা ব্যর্থ তার সিনেমা। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হত্যার হুমকি। সবকিছু মিলিয়ে খারাপ সময় পার করছেন বলিউডের এই মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর। এরই মধ্যে কারিনা কাপুর খানের একটি বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। যেখানে কারিনা কাপুর বলেন— “সালমান খান একজন বাজে অভিনেতা।”

বেশ আগে উমেশ জিবনানিকে সাক্ষাৎকার দেন কারিনা কাপুর খান। পুরোনো সেই সাক্ষাৎকার নতুন করে অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়েছে।

আলাপচারিতার শুরুতে তিন খানের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এরপরই কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি তাকে খুবই ভালোবাসি। তার বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন না। কারণ আমি যদি শুরু করি, তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাবে তবু শেষ হবে না। অমিতাভ বচ্চন এবং শাহরুখ খান এই দুই অভিনেতার ভক্ত আমি।” 

আরো পড়ুন:

লুকিয়ে সালমানের বাড়িতে দুই ব্যক্তি, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

বোমা মেরে সালমানের গাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান প্রসঙ্গে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমিরও ভালো। ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’, ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ সিনেমায় তাকে আমার ভালো লেগেছিল। তবে সব খানদের মধ্যে আমি শাহরুখের ভক্ত।”

সালমান খান প্রসঙ্গে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি সালমান খানের ভক্ত নই। আমি তাকে পছন্দ করি না। সে খুব বাজে অভিনেতা। আমি তাকে ব্যাপারটি বলেছিও। সে সবসময় অতিরঞ্জিত করে।”

বলিউডের তিন খানের সঙ্গে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কারিনা কাপুর। তবে সবচেয়ে বেশি জুটি বেঁধেছেন সালমান খানের। আলোচিত ‘বডিগার্ড’ সিনেমা থেকে শুরু করে ‘কিউ কি’, ‘ম্যায় আউর মিসেস খান্না’-এরে মতো সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন সালমান-কারিনা। দর্শকরা এ জুটির রসায়ন পছন্দও করেছেন। তারপর কারিনার কেন ভালো লাগেনি তা এক রহস্য।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি‌ বরাবর অভিযোগ করেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ