সালমান খুব বাজে অভিনেতা, কারিনার বক্তব্য ভাইরাল
Published: 27th, May 2025 GMT
সালমান খানের সময় ভালো যাচ্ছে না। বক্স অফিসে টানা ব্যর্থ তার সিনেমা। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হত্যার হুমকি। সবকিছু মিলিয়ে খারাপ সময় পার করছেন বলিউডের এই মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর। এরই মধ্যে কারিনা কাপুর খানের একটি বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। যেখানে কারিনা কাপুর বলেন— “সালমান খান একজন বাজে অভিনেতা।”
বেশ আগে উমেশ জিবনানিকে সাক্ষাৎকার দেন কারিনা কাপুর খান। পুরোনো সেই সাক্ষাৎকার নতুন করে অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়েছে।
আলাপচারিতার শুরুতে তিন খানের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এরপরই কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি তাকে খুবই ভালোবাসি। তার বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন না। কারণ আমি যদি শুরু করি, তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাবে তবু শেষ হবে না। অমিতাভ বচ্চন এবং শাহরুখ খান এই দুই অভিনেতার ভক্ত আমি।”
আরো পড়ুন:
লুকিয়ে সালমানের বাড়িতে দুই ব্যক্তি, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
বোমা মেরে সালমানের গাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান প্রসঙ্গে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমিরও ভালো। ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’, ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ সিনেমায় তাকে আমার ভালো লেগেছিল। তবে সব খানদের মধ্যে আমি শাহরুখের ভক্ত।”
সালমান খান প্রসঙ্গে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি সালমান খানের ভক্ত নই। আমি তাকে পছন্দ করি না। সে খুব বাজে অভিনেতা। আমি তাকে ব্যাপারটি বলেছিও। সে সবসময় অতিরঞ্জিত করে।”
বলিউডের তিন খানের সঙ্গে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কারিনা কাপুর। তবে সবচেয়ে বেশি জুটি বেঁধেছেন সালমান খানের। আলোচিত ‘বডিগার্ড’ সিনেমা থেকে শুরু করে ‘কিউ কি’, ‘ম্যায় আউর মিসেস খান্না’-এরে মতো সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন সালমান-কারিনা। দর্শকরা এ জুটির রসায়ন পছন্দও করেছেন। তারপর কারিনার কেন ভালো লাগেনি তা এক রহস্য।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’