সাভারের আশুলিয়ায় নেশাগ্রস্ত ছেলেকে টাকা না দেয়ায় মা সুফিয়া খাতুনকে (৬২) মারধরের করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ছেলে আওলাদ হোসেন (৩২) পলাতক রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে রাতে সাভারের আশুলিয়ার শিমুলিয়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত সুফিয়া খাতুন উপজেলার আশুলিয়া থানার ভাটিয়াকান্দি গ্রামের নেহাজ্জুদ্দিনের মেয়ে।

আরো পড়ুন:

গরু‌ বাঁচা‌তে গি‌য়ে ট্রেনে কাটা পড়লেন বৃদ্ধ

নাটোরে মাটি ধসে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর

স্থানীয়রা জানান, আওলাদ মাদক সেবন করেন। তিনি সোমবার (২৬ মে) দুপুর থেকে তার মায়ের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চেয়ে আসছিলেন। ঈদের আগে টাকা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন সুফিয়া খাতুন। এতে আওলাদ নেশার টাকা না পেয়ে রাতে তার মাকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

আশুলিয়া  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, মরদেহ ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে রয়েছে এবং ধামরাই থানা পুলিশ নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে। 

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ