মাদকের টাকা না পেয়ে মারধরে মায়ের মৃত্যু, ছেলে পলাতক
Published: 27th, May 2025 GMT
সাভারের আশুলিয়ায় নেশাগ্রস্ত ছেলেকে টাকা না দেয়ায় মা সুফিয়া খাতুনকে (৬২) মারধরের করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ছেলে আওলাদ হোসেন (৩২) পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে রাতে সাভারের আশুলিয়ার শিমুলিয়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত সুফিয়া খাতুন উপজেলার আশুলিয়া থানার ভাটিয়াকান্দি গ্রামের নেহাজ্জুদ্দিনের মেয়ে।
আরো পড়ুন:
গরু বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়লেন বৃদ্ধ
নাটোরে মাটি ধসে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
স্থানীয়রা জানান, আওলাদ মাদক সেবন করেন। তিনি সোমবার (২৬ মে) দুপুর থেকে তার মায়ের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চেয়ে আসছিলেন। ঈদের আগে টাকা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন সুফিয়া খাতুন। এতে আওলাদ নেশার টাকা না পেয়ে রাতে তার মাকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, মরদেহ ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে রয়েছে এবং ধামরাই থানা পুলিশ নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে।
ঢাকা/সাব্বির/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”
এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।
ঢাকা/এমআর/মেহেদী