তাঁর উপস্থিতি অন্য মাত্রা যোগ করেছে আইপিএলে। দলের প্রায় সব ম্যাচেই উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করেছেন বলিউডের অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। গত কয়েকটি আসরে পাঞ্জাব কিংস সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। 

তবে এবার রিকি পন্টিংয়ের কোচিংয়ে এই দলটিই শুরু থেকে ধারাবাহিকতা ধরে রাখে। এর ফলও পেয়েছে তারা। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে দীর্ঘ ১১ বছর পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কোয়ালিফায়ারে উঠেছে প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব কিংস। সোমবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৭ উইকেটে হারানো পাঞ্জাব কিংসের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ১৯।
 
পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে ওঠায় আইপিএলের ফাইনাল খেলতে দুটি সুযোগ পাবে পাঞ্জাব কিংস। অনেক বছর পর প্লে-অফে উঠলেও উচ্ছ্বাসে ভাসছেন না দলটির অস্ট্রেলিয়ান কোচ। 

এখনও কিছু অর্জন হয়নি বলে ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমকে জানান পন্টিং, ‘এই দলের ওপর আমি সত্যিই খুশি। এই অর্জনের (প্লে-অফ) পেছনে কঠোর পরিশ্রম ছিল। আমি মনে করি এটা অনেক বড় অর্জন; কিন্তু আপনি যদি পেছনে ফিরে তাকান, প্লে-অফে ওঠাটা কোনো কিছুই নয়। যখন আমরা কোয়ালিফায়ারে উঠেছিলাম, আমি খেলোয়াড়দের বলেছি কোনো কিছুই কিন্তু অর্জন করিনি। আমার লক্ষ্যই ছিল সেরা দুইয়ে থাকা, সেটা পূরণ হয়েছে।’

দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলার সময় পন্টিং ও শ্রেয়াস আয়ারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। পাঞ্জাবে এসে সেই জুটি আবার তৈরি হয়। মাঝে শ্রেয়াস চলে গিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। সেই দলকে আইপিএলও জিতিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে আর রাখেনি কেকেআর। 

সেই শ্রেয়াস ম্যাচ শেষে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচকে, ‘পন্টিং মাঠে আমাকে নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেন। যেটা আমার ভালো লাগে। আমাদের দলকে এইগুলো সাহায্য করেছে। সব কিছু একদম সঠিক পথে চলছে।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ র য় স আইয় র প র ত জ নত

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ