অভয়নগরে পুড়ে যাওয়া ২০ বাড়ি পরিদর্শন করলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা
Published: 27th, May 2025 GMT
যশোরের অভয়নগরের ডহর মশিয়াহাটি গ্রামে গত ২২ মে পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পর সেই গ্রামের ২০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সারা রাত ধরে জ্বলতে থাকে সে আগুন। এতে নিঃস্ব হয় ২০টি পরিবার।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে সেই পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলো পরিদর্শন করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।
পরিদর্শনে যাওয়া নেতারা হলেন— বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিউর রহমান, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের যশোর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু, সিপিবির যশোর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান হিরু এবং বাসদের যশোর জেলা শাখার সমন্বয়ক শাহজাহান আলী।
ঢাকা/রিটন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অভয়নগরে আগুনে পোড়া বাড়িগুলো পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
যশোরের অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের আগুনে পোড়া বাড়িগুলো পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার রওনক জাহান।
রবিবার (২৫ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে যান তারা।
গত ২২ মে ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদারকে গুলি করে ও কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর ওই গ্রামের অন্তত ২০টি বাড়ি লুটপাট করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এতে নিঃস্ব হয়ে যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
আরো পড়ুন:
মাদকসেবন নিয়ে ঝগড়ায় শুভকে খুন করে বন্ধুরা : পুলিশ
পালিত ছেলের বিরুদ্ধে মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পুলিশ সুপার রওনক জাহানকে কাছে পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির নারীরা কান্না ভেঙে পড়েন। তারা তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার তাদের পাশে থাকার এবং সব ধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দেন।
পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, “যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা খুবই খারাপ। তবে ঘটনা শোনার পরপরই আমরা সব দপ্তরগুলো অত্যন্ত সচেতন আছি। তাৎক্ষণিক আমরা তাদের খাবার, পোশাক, ঘরের টিনসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করেছি।”
ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এখানে পুনর্বাসনের যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা অবশ্যই করা হবে। ঘটনার সময় তো আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম, প্রশাসন এখন সর্বদা প্রস্তুত আপনাদের নিরাপত্তা দিতে। আপনাদের নিঃভয়ে ঘরে ফিরুন।”
এ সময় যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন, সাধারণ সম্পাদক তপন বিশ্বাসসহ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রিটন/মেহেদী