মিয়ানমারে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ
Published: 27th, May 2025 GMT
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনকে ‘অনতিবিলম্বে’ দায়িত্ব ত্যাগ করে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয়, তবে ফেরতের কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
মনোয়ার হোসেন ২০২৩ সালের আগস্টে মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি নেইপিদোতে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খানের স্থলাভিষিক্ত হন।
আরো পড়ুন:
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব হলেন রুহুল আলম
আলোচনায় ডেপুটি হাইকমিশনার শাবাব, দেশে ফেরার নির্দেশ
রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন ২০তম বিসিএসের ফরেন সার্ভিস ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং দীর্ঘ কূটনৈতিক অভিজ্ঞতার অধিকারী একজন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত।
রাষ্ট্রদূতের এই আকস্মিক ফেরত আনার সিদ্ধান্ত কূটনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এটি নিয়মিত প্রশাসনিক পদক্ষেপ হতে পারে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শাপলার গণহত্যার সমর্থক শাহবাগীদেরও বিচার করতে হবে: হেফাজতে ইসলাম
শাপলার গণহত্যার সমর্থক ‘শাহবাগীদের’ বিচার দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসলামবিদ্বেষী ফ্যাসিস্ট শাহবাগীদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ার মদদে শাহবাগে ইসলামবিদ্বেষী গণশত্রুরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ন্যায়বিচার ধ্বংস করে ফ্যাসিবাদ কায়েমে একাট্টা হয়েছিল। সেই শাহবাগ ঘিরে আধিপত্যবাদী ইন্ডিয়ার আগ্রাসী চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেয় হেফাজতে ইসলাম। এর চরম মূল্য হিসেবে হেফাজতের ৫ মে শাপলার গণজমায়েতকে রাতের আঁধারে নির্মম গণহত্যার শিকার হতে হয়। শাপলা চত্বরে তাহাজ্জুদরত রাসূলপ্রেমিক নিরীহ তৌহিদি জনতার ওপর সেই রাষ্ট্রীয় হত্যালীলায় সমর্থন ও উস্কানি দিয়েছিল একদল ফ্যাসিস্ট শাহবাগী বাম ও উগ্র সেক্যুলার গোষ্ঠী। ইন্ডিয়ার ক্রীড়নক ও শাপলার গণহত্যার সমর্থক সেই শাহবাগীদেরও আজ বিচার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাপলা চত্বরের প্রতিরোধ চেতনায় অনুপ্রাণিত তৌহিদি জনতা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেছিল। ৮৪ জনেরও অধিক মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক শহীদ হন। সেই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার মধ্য দিয়ে আপামর ছাত্র-জনতা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করেছে। আজকে জুলাইয়ের সেই ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী চেতনা ও ঐক্য ধরে রেখে ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত দোসর ইসলামবিদ্বেষী বাম ও সেক্যুলারদের আস্ফালন ব্যর্থ করে দিতে হবে।’
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা দেশের ইসলামপন্থী ও আলেম নেতৃবৃন্দকে ‘মৌলবাদী’ বলে গত দেড় দশকের পুরনো ভারতীয় ও আওয়ামী বয়ানে সুর মিলিয়ে কটাক্ষ করেছেন, যা উদ্বেগজনক। আওয়ামী ও ভারতীয় বয়ানে কথা বললে দেশবাসীর কাছে প্রত্যাখ্যাত হবেন। সুতরাং এসব আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ভাষা ব্যবহার থেকে তাদের বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মাওলানা আজিজুল হক বলেন, ‘ইসলামবিদ্বেষী ফ্যাসিস্ট শাহবাগীরা ন্যায়বিচারের আজন্ম শত্রু। এদের মন-মানস বিষাক্ত। এরা প্রগতিশীলতার ভেকধারী সুযোগসন্ধানী। পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দেশে যেকোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে সিদ্ধহস্ত। এদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে জুলাইর ছাত্র-জনতাকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই। এছাড়া সচিবালয়ের অস্থিরতা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে অতিসত্বর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান করছি।’