মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী হীরা
Published: 28th, May 2025 GMT
পুলিশি হেফাজতে থাকা জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম হীরা (৮৪) ও তার স্ত্রীকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দিবাগত রাত ১১টার দিকে মুচলেকা নিয়ে তার স্ত্রী সালমা খাতুনের জিম্মায় ছেড়ে দেয় জামালপুর সদর থানা পুলিশ। পরে পুলিশ তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো.
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে রেজাউল করিম ইসলাম হীরা তার স্ত্রীকে নিয়ে জমি বিক্রির জন্য শেরপুর জেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে আটক করে। খবর পেয়ে শেরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। রাত ১০টার দিকে তাকে জামালপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রেজাউল করিম হিরা জামালপুর সদর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত টানা পাঁচবার এমপি নির্বাচিত হয়ে ২০০৯ সালে ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা/শোভন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিনহা হত্যা: হাইকোর্টের রায় ২ জুন
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২ জুন রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারল শামীমা দিপ্তী।
গত ২১ এপ্রিল সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। একই সঙ্গে মামলার যাবতীয় নথি বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়।
গত ২৩ এপ্রিল এ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
ঘটনার ৫দিন পর ২০২০ সালের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় র্যাব। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি সাত আসামি খালাস পান। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা আপিল করেন।
ঢাকা/এম/এসবি