জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিনি মুক্তি পান।

ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) মো. জাহাঙ্গীর কবির প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজহারুল বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে আজ সকালে মুক্তি দেওয়া হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুরাইয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল মঙ্গলবার আজহারুল খালাস পান। এ-সংক্রান্ত নথি গতকাল রাতে তাঁদের কাছে আসে। নথি যাচাইবাছাই শেষে আজ সকালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আজহারুলের আপিল মঞ্জুর করে অভিযোগ থেকে গতকাল তাঁকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আজহারুলের করা আপিল সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করে এ রায় দেওয়া হয়।

রায়ে বলা হয়, আপিলকারীকে (আজহারুল) সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হলো। অন্য কোনো মামলা বা আইনি কার্যধারা না থাকলে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।

আজ সকালে আজহারুল কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন।

আরও পড়ুনমৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা আজহারুল২৭ মে ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছিলেন।

দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল। এই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগ রায় দেন।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল।

আরও পড়ুনরায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: আজহারুলের আইনজীবী২২ ঘণ্টা আগে

এই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি লিভ মঞ্জুর করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে বলা হয়। পরে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দেওয়া হয়। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল তাঁকে খালাস দিয়ে রায় দেন আপিল বিভাগ।

আরও পড়ুনএই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কৃতিত্ব জুলাই গণ-আন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের: আসিফ নজরুল১৯ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম নবত ব র ধ আপ ল ব ভ গ আজহ র ল অপর ধ র আপ ল র গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি বুধবার

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার নির্ধারণ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক আজ মঙ্গলবার এই দিন নির্ধারণ করেন। আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ শুনানি হবে।

এর আগে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে ২২ মে আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেদিনই পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মেয়র ঘোষণা ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গতকাল সোমবার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন রিট আবেদনকারী। এটি লিভ টু আপিলটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের আজকের কার্যতালিকায় ১২৫ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আদালতে লিভ টু আপিলকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। ইশরাকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিলটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামীকাল নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ‘মো. মামুনুর রশিদ বনাম বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য’ শিরোনামে আপিল বিভাগের আগামীকালের কার্যতালিকায় লিভ টু আপিলটি ১৪ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।

নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। একই বছরের ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে ইশরাকের করা নির্বাচনী মামলায় চলতি বছরের ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তাপসকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করা হয়। ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিনহা হত্যা: হাইকোর্টের রায় ২ জুন 
  • ইশরাকের শপথের সিদ্ধান্ত ইসির ওপর ছেড়ে দিলেন আপিল বিভাগ
  • পতনের ধারা গভীর হচ্ছে সূচক ৫ বছরে সর্বনিম্ন
  • ইশরাককে মেয়র করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চলছে, নগর ভবন অচল
  • ইশরাককে মেয়র ঘোষণা নিয়ে লিভ টু আপিলে ইসির বক্তব্য শুনবেন আপিল বিভাগ
  • ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি বুধবার
  • সালাউদ্দিন কাদের-দেলাওয়ার হোসাইন এভাবেই ফিরে আসতে পারতেন: সারজিস 
  • ‘নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় খালাস পেয়েছেন আজহারুল ইসলাম’ 
  • জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় আজ