ঋষভ পান্ত দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আত্মপ্রকাশ করলেন এক ঝলমলে সেঞ্চুরি দিয়ে। অথচ সেই আলোও ঢেকে গেল বেঙ্গালুরুর বিজয়গাথায়। যখন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস স্কোরবোর্ডে সুনামি তুললো, তখন মনে হচ্ছিল এই ম্যাচ বুঝি পান্তময়ই হবে। কিন্তু নাটকের শেষাংশে এসে জিতেশ শর্মা ও বিরাট কোহলির নেতৃত্বে লেখা হলো এক নতুন মহাকাব্য।

দীর্ঘ সময় চুপচাপ থাকা ঋষভ পান্ত হঠাৎ করেই যেন সেই পুরনো বিস্ফোরক চেহারায় ফিরলেন। মাত্র ৬১ বলে ১১ চার ও ৮ ছয়ে গড়া ১১৮ রানের ইনিংসে তিনি রীতিমতো লক্ষ্ণৌকে উড়ান দিলেন ২২৭ রানের বিশাল স্কোরে। মিচেল মার্শের (৬৭ রান, ৩৭ বল) সঙ্গে ১৫২ রানের জুটিও দলকে ভরসা দিয়েছিল। বিশেষ করে ২০ বলে ফিফটি আর ৫৪ বলে শতরান– পরিসংখ্যান বলছে পান্ত একাই ম্যাচের চালচিত্র বদলে দিয়েছিলেন।

কিন্তু এত বড় লক্ষ্যও যেন বেঙ্গালুরুর জন্য ভয় নয়, বরং প্রেরণা। দ্বিতীয় ওভারেই কোহলি ও ফিল সল্ট ঝড় তুললেন – ২২ রান! সল্ট ৩০ রানে থামলেও, কোহলি তুলে নিলেন ২৭ বলে ফিফটি। আউট হওয়ার আগে করেন ৫৪ রান।

আরো পড়ুন:

কুবির আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বিজয়ী আইন বিভাগ

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের খেলা দেখা যাবে যেসব চ্যানেলে

তবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন সেই মানুষটি, যিনি অধিনায়ক হিসেবেও এবার আলো ছড়াচ্ছেন- জিতেশ শর্মা। মাঠে নেমেই প্রথম বলেই চার, আর তারপর যেন থামার নাম নেই। ৩৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংসটি ছিল একটানা আক্রমণের গল্প। তার সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়ে মায়াঙ্ক (৪১*) নিশ্চিত করে দেন, শেষ পর্যন্ত কে হাসবে।

১৮.

৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান করে ম্যাচ শেষ করে বেঙ্গালুরু। আইপিএল ইতিহাসে এটিও একটি উল্লেখযোগ্য রান তাড়া — এবং সেটাও এমন এক ম্যাচে, যেখানে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করাই ছিল লক্ষ্য!

এ জয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নেয় বেঙ্গালুরু। তারা ২৯ মে মুখোমুখি হবে পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে। অন্যদিকে, গুজরাট ও মুম্বাই খেলবে এলিমিনেটর রাউন্ডে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ