ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রফেশনাল মাস্টার্স ইন ইইই প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ১৫ জুন। বিভাগটি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীন।

প্রোগ্রামের বিবরণ

এই প্রোগ্রামের ক্রেডিট সংখ্যা ৩৬। এর মধ্যে থিওরি ৩০টি ও প্রজেক্ট ৬টি, মেয়াদ ১৮ মাস, ৩টি সেমিস্টার। আবেদন ফি ২ হাজার ৫০০ টাকা।

ভর্তির যোগ্যতা

আবেদনকারীকে অবশ্যই ইইই, ইটিই, অ্যাপ্লায়েড পদার্থ ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন, অ্যাপ্লায়েড পদার্থ অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, সিএসই, রোবোটিকস ও মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিই, আইসিটি, ইসিই, মেটার্নাল সায়েন্স, বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। ন্যূনতম সিজিপিএ–২.

৫০ (৪–এর মধ্যে) থাকতে হবে। ও লেভেল, এ লেভেল ও বিদেশি ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের আবেদনের আগে ইইই বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে। কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ পেলে হবে না। আবেদনের জন্য ভিজিট করতে হবে:

পরীক্ষার বিস্তারিত

৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। মৌখিক পরীক্ষা হবে ২০ নম্বরের। লিখিত পরীক্ষার বিষয়: অ্যানালগ ও ডিজিটাল ইলেকট্রনিক, এসি ও ডিসি ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট, ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ও মেশিন, কম্পিউটার ফান্ডামেন্টাল।

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ

আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ জুন, লিখিত পরীক্ষা হবে ২০ জুন। ২৪ জুন লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে, মৌখিক পরীক্ষা হবে ২৭ জুন। নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা ২৮ জুন প্রকাশ করা হবে। আগামী ৩ জুলাই ভর্তি হতে হবে, ক্লাস শুরুর তারিখ ৪ জুলাই থেকে।

বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে ওয়েবসাইটে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ