আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার কাল। পাঞ্জাবের মুল্লানপুরে মুখোমুখি হবে পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পরের দিন একই মাঠে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে গুজরাট টাইটানস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। প্লে-অফের এই দুই ম্যাচের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখেননি আয়োজকেরা। তাই প্রশ্ন উঠেছে, বৃষ্টিতে বা অন্য কোনো কারণে যদি এই দুই ম্যাচ ফল না দেখে অথবা পরিত্যক্ত হয়, তখন কী হবে? প্রথম কোয়ালিফায়ার থেকে কারা ফাইনালে যাবে অথবা এলিমিনেটর থেকে কারাই–বা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে যাবে?

আইপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনের ১৬.

১১.২ ধারায় বলা আছে প্লে-অফ ম্যাচে কোনো বিজয়ী নির্ধারণ করা না গেলে কী হবে। এমন কিছু হলে দেখা হবে মুখোমুখি হওয়া দুই দলের মধ্যে যারা লিগ পর্বে পয়েন্ট তালিকায় ওপরে ছিল, সেটি। লিগ পর্বে ওপরে থাকা দলটিই চলে যাবে পরের রাউন্ডে।

জীতেশ শর্মার দারুণ এক ইনিংসে ভর করে লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে আইপিএলের লিগ পর্বটা সবার ওপরে থেকে শেষ করেছে বেঙ্গালুরু

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ