ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছেন। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমা নেতাদের পূর্ব দিকে ন্যাটো সম্প্রসারণ বন্ধ করার জন্য লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। তিনটি রুশ সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক ইউরোপীয় সংঘাতের অবসান ঘটাতে চান। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পুতিন কিয়েভের সাথে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকার করে ‘আগুন নিয়ে খেলছেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ রুশ কর্মকর্তা বলেছেন, “পুতিন শান্তি স্থাপন করতে প্রস্তুত, কিন্তু যেকোনো মূল্যে নয়।”

তিনটি রাশিয়ান সূত্র জানিয়েছে, পুতিন মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটকে পূর্ব দিকে সম্প্রসারিত না করার জন্য প্রধান পশ্চিমা শক্তিগুলোর কাছ থেকে ‘লিখিত’ প্রতিশ্রুতি চান। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য ইউক্রেন, জর্জিয়া ও মলদোভার ব্যাপারে যেন পশ্চিমারা তাদের হাত গুটিয়ে নেয়।

সূত্রগুলো বলেছে, রাশিয়া চায় ইউক্রেন নিরপেক্ষ থাকুক, কিছু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক, জব্দ করা রাশিয়ান সার্বভৌম সম্পদের সমস্যার সমাধান হোক এবং ইউক্রেনে রুশ ভাষাভাষীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।

প্রথম সূত্রটি বলেছে, “যদি পুতিন বুঝতে পারেন যে তিনি নিজের শর্তে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারছেন না, তাহলে তিনি সামরিক বিজয়ের মাধ্যমে ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয়দের দেখাতে চাইবেন যে আগামী দিনগুলোতে শান্তি আরো বেদনাদায়ক হবে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ