যুদ্ধ অবসানে পুতিনের প্রধান দুই শর্ত
Published: 28th, May 2025 GMT
ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছেন। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমা নেতাদের পূর্ব দিকে ন্যাটো সম্প্রসারণ বন্ধ করার জন্য লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। তিনটি রুশ সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক ইউরোপীয় সংঘাতের অবসান ঘটাতে চান। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পুতিন কিয়েভের সাথে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকার করে ‘আগুন নিয়ে খেলছেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ রুশ কর্মকর্তা বলেছেন, “পুতিন শান্তি স্থাপন করতে প্রস্তুত, কিন্তু যেকোনো মূল্যে নয়।”
তিনটি রাশিয়ান সূত্র জানিয়েছে, পুতিন মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটকে পূর্ব দিকে সম্প্রসারিত না করার জন্য প্রধান পশ্চিমা শক্তিগুলোর কাছ থেকে ‘লিখিত’ প্রতিশ্রুতি চান। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য ইউক্রেন, জর্জিয়া ও মলদোভার ব্যাপারে যেন পশ্চিমারা তাদের হাত গুটিয়ে নেয়।
সূত্রগুলো বলেছে, রাশিয়া চায় ইউক্রেন নিরপেক্ষ থাকুক, কিছু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক, জব্দ করা রাশিয়ান সার্বভৌম সম্পদের সমস্যার সমাধান হোক এবং ইউক্রেনে রুশ ভাষাভাষীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।
প্রথম সূত্রটি বলেছে, “যদি পুতিন বুঝতে পারেন যে তিনি নিজের শর্তে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারছেন না, তাহলে তিনি সামরিক বিজয়ের মাধ্যমে ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয়দের দেখাতে চাইবেন যে আগামী দিনগুলোতে শান্তি আরো বেদনাদায়ক হবে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’