পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে টস হেরে বোলিং করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে উইকেট তুলে নেন স্পিনার শেখ মাহেদী। দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন। পরে স্বাগতিকরা ৫ উইকেট হারালেও ভালো রান তুলেছে।
পাকিস্তান ১৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানে ব্যাট করছে। ক্রিজে আছেন শাদাব খান ও খুলদিল শাহ। এর আগে অধিনায়ক সালমান আঘা ৩৪ বলে ৫৬ রান করেন। আটটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। মোহাম্মদ হারিস ১৮ বলে ৩১ রান যোগ করেন। হাসান নওয়াজ ২২ বলে চারটি ছক্কা ও দুই চারে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। এর আগে ওপেনার সাঈম আইয়ূব শূন্য ও ফখর জামান ১ রান করে আউট হন।
বাংলাদেশ একাদশে আছেন তিন পেসার তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। স্পিন আক্রমণে রিশাদ হোসেন ও শেখ মাহেদীকে রাখা হয়েছে। ব্যাটিংয়ে নাজমুল শান্তকে একাদশে রাখা হয়নি।
পাকিস্তান দুই পেসার হাসান আলী ও হারিস রউফের সঙ্গে পেস অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফকে একাদশে নিয়েছে। স্পিন সামলাবেন দুই লেগি শাদাব খান ও আবরার আহমেদ। ব্যাটিংয়ে হাসান নওয়াজ জায়গা পেয়েছেন। পিএসএলে দারুণ খেলেছেন তিনি। সাঈব আইয়ূব ফিরেছেন পাকিস্তানের একাদশে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, শেখ মাহেদী, জাকের আলী, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, সাঈম আইয়ূব, মোহাম্মদ হারিস, সালমান আঘা, হাসান নওয়াজ, শাদাব খান, খুলদীল শাহ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’