বন্দরে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে  এক হতাশাগ্রস্থ নারী নিজের কিডনী বিক্রি করার ঘোষনা দিয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রিতা আক্তার (২৭) নামে এক নারী বন্দর প্রেসক্লাবে এসে নিজের কিডনি বিক্রি করার জন্য আকুতি জানায়।

ৃএর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দারিদ্রার কষাঘাতে নিমজ্জিত। আমি প্রথমে কিছু সুদে টাকা নেই। সে সুদ দিতে গিয়ে এনজিও থেকে টাকা নেই। সেই এনজিওর কিস্তি দিতে গিয়ে পর পর কয়েকটি এনজিও থেকে টাকা নিতে হয়।

বর্তমানে আমি প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋনের বোঝায় অস্থির হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিডনি বিক্রির জন্য। আমি আশা, ব্রাক, সিডিপ, ডিএসকে, টিএমএস নামক এনজিও থেকে কিস্তিতে টাকা নিয়ে সুদ ও কিস্তিসহ সংসারে খরচ করে এখন আর সুদ দিতে পারছি না।

ঋনের চাপে দিশেহারা হয়ে কিডিনি বিক্রি করতে চাচ্ছি। আমি নারায়ণগঞ্জ বন্দরের নবীগঞ্জ অলম্পিয়া আবাসিক এলাকায় সালাউদ্দিন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করছি।

আমার পিতার নাম মৃত হাবিবুর রহমান। স্বামী অল্প আয়ের মানুষ। তার টাকায় সংসার চলেনা। আমার মোবাইল নাম্বার ০১৮৬৮৪৩২১৭২। তবে আমি  স্বেচ্ছায় কিডনি বিক্রি করে চাই। ###

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এনজ ও

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।

অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ