ট্রাম্পের বক্তব্যে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের’ ঝুঁকি বাড়ছে
Published: 29th, May 2025 GMT
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ না নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘আগুন নিয়ে খেলছেন’। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের এমন মন্তব্য আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে ‘সত্যিকার অর্থেই খারাপ’।
সম্প্রতি পুতিনকে উদ্দেশ করে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি হস্তক্ষেপ না করলে রাশিয়ায় ইতিমধ্যে সত্যিই ভয়াবহ কিছু ঘটে যেত।
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের জবাবে এক্সে (সাবেক টুইটার) দিমিত্রি মেদভেদেভ লিখেছেন, ট্রাম্প পুতিনের ‘আগুন নিয়ে খেলা’ এবং রাশিয়ায় ‘সত্যিই খারাপ ঘটনা’ ঘটা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। ‘আমি একটাই সত্যিকারের ভয়াবহ ঘটনা বুঝি। আর সেটা হলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আশা করি ট্রাম্প বিষয়টি বুঝতে পারবেন।’
ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আহ্বান জেলেনস্কির
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সংলাপে বসতে চান।
গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করার সময় জেলেনস্কি এসব কথা বলেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘পুতিন যদি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, অথবা সবাই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক চান, তাহলে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি যেকোনো ধরনের বৈঠকের জন্য প্রস্তুত।’
দিমিত্রি মেদভেদেভ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’