আন্তর্জাতিক শুল্কের কারণে ব্যবসায়ে ব্যয় বেড়েছে
Published: 29th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্ক বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে ব্যবসায়ে ব্যয় বেড়ে গেছে। আগামীতে আরও বাড়তে পারে। বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসির সাম্প্রতিক এক জরিপে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো এমন তথ্য দিয়েছে।
জরিপে উঠে এসেছে ক্রমবর্ধমান ব্যয়, সরবরাহ চেইনে বিঘ্নতা, শুল্ক ও পরিবর্তনশীল বাণিজ্যনীতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কৌশল ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে।
এইচএসবিসি ‘ট্রেড পালস’ নামে এ জরিপ সম্প্রতি প্রকাশ করেছে। জরিপে বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ৫ হাজার ৭০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের বর্তমান শুল্ক ও বাণিজ্য বিষয়ে পরিকল্পনা ও মনোভাবের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে শুল্ক ও বাণিজ্য অনিশ্চয়তার কারণে ব্যয় বৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছে এবং তারা মনে করছে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
গত ৩০ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত জরিপ পরিচালিত হয়। জরিপে বাংলাদেশের ২৫০ প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকেই শুল্কের কারণে ব্যয় বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। তবে অংশগ্রহণকারীদের উল্লেখযোগ্য অংশ আগামীতে আন্তর্জাতিক ব্যবসা সম্প্রসারণে আশাবাদী। অর্ধেকের মতো উত্তরদাতা জানিয়েছে, সম্প্রসারণে তাদের কৌশলগত পরামর্শের দরকার হবে। এইচএসবিসি বাংলাদেশ জরিপের বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের ৫৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ৬১ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ, ভারতের ৫৪ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ শতাংশ ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। যুক্তরাজ্য (৪৬%), ভারত (৬২%) এবং বাংলাদেশের ৫৮ শতাংশ উত্তরদাতা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির আশাবাদ বজায় রয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে ভারত (৯৬%), বাংলাদেশ (৯৫%) ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (৯৪%)।
জরিপে অর্ধেকের বেশি অংশগ্রহণকারী সাপ্লাই চেইন কৌশলের জন্য ক্রমবর্ধমান খরচকে এক নম্বর উদ্বেগ হিসেবে দেখছে। ৮৫ শতাংশ উত্তরদাতা করপোরেট উচ্চতর খরচ বা বাজার পরিবর্তনের প্রতিফলনের জন্য তাদের ঊর্ধ্বমুখী মূল্য নির্ধারণ কৌশল নিয়েছে অথবা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তিন-চতুর্থাংশের বেশি প্রতিষ্ঠানকে তাদের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক মডেল পুনর্বিবেচনা করতে হচ্ছে। যদি শুল্ক সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা আগামী দুই বছর ধরে চলতে থাকে, তাহলে ৪৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ কৌশল পুনর্বিবেচনা করবে এবং ৩৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের দেশীয় বা আঞ্চলিক বাজারে মনোযোগ দেবে।
এইচএসবিসি গ্লোবাল ট্রেড সলিউশনের প্রধান ভিভেক রামাচন্দ্রন বলেন, শুল্ক এবং বাণিজ্য অনিশ্চয়তার বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তারা এ পরিস্থিতিতেও তাদের কার্যক্রমে সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে এবং পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশের জরিপের ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এইচএসব স ব যবস য় ক পর স থ ত র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কস অলরাউন্ডার: ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরসহ ৯ জেলায় কবে কোথায় প্রতিযোগিতা
বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে এখন চলছে প্রতিভার উচ্ছ্বাস ‘মার্কস অলরাউন্ডার’। ‘দেখাও যত প্রতিভা তোমার’ স্লোগানে আয়োজিত দেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্মটি শিশু-কিশোরদের নিজেদের সম্ভাবনা প্রকাশের মঞ্চ হয়ে উঠেছে। বরাবরের মতো এবারের আয়োজনটিও পাচ্ছে দর্শক ও অংশগ্রহণকারীদের দারুণ সাড়া। প্রতিযোগিতাটি তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে—আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে। এরই মধ্যে অনেক স্থানে প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্র ও শনিবার (৭ ও ৮ নভেম্বর) ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী ও পঞ্চগড় অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। নিম্নলিখিত প্রতিটি ভেন্যুতে সকাল আটটা থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।
তারিখ: ৭ নভেম্বর, শুক্রবার
ভেন্যু: কলকাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলা।
ভেন্যু: কলেজিয়েট গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাসপাতাল রোড, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা।
ভেন্যু: ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ, আকুয়া, ময়মনসিংহ।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ময়মনসিংহ সদরের একাংশ (আকুয়া, সানকিপাড়া, কলেজ রোড, কাচিঝুলি, পুলিশ লাইনস, নয়াপাড়া, মাসকান্দা, দিগারকান্দা ও সুতিয়াখালী), মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, ভালুকা ও গফরগাঁও থানা।
তারিখ: ৮ নভেম্বর, শনিবার
ভেন্যু: ঝিনাইদহ নিউ একাডেমি স্কুল, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা।
ভেন্যু: ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, ময়মনসিংহ।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ময়মনসিংহ সদরের একাংশ (টাউন হল, কাচারি, চরপাড়া, ব্রিজ মোড়, গাঙ্গিনাপাড়, পণ্ডিতপাড়া, মেছোয়া বাজার, ছোট বাজার ও বড় বাজার), গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, তারাকান্দা, ফুলপুর, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া থানা।
ভেন্যু: নীলফামারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, পিটিআই রোড, নীলফামারী সদর, নীলফামারী।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলা।
প্রতিযোগিতার গ্রুপ ও বিষয়—প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি—জুনিয়র স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা); পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি—মিডল স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা) এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি—হাইস্কুল ও কলেজ (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।)
ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, যশোর, মাগুরা, নোয়াখালী, ফেনী, সিলেট, নাটোর, পাবনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পঞ্চগড়, জামালপুর, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ১০০টি স্থানে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ (প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।
পুরস্কারমার্কস অলরাউন্ডারে তিনটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন অলরাউন্ডারের প্রত্যেকে পাবে ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। আর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবে মোট এক কোটি টাকার বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনটি গ্রুপের ফার্স্ট রানার্সআপ এবং সেকেন্ড রানার্সআপের প্রত্যেকে পাবে পাঁচ লাখ এবং তিন লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। তিনটি গ্রুপের ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে সেরা ৩ জন করে মোট ৫৪ জন সেরা পারফরমারের প্রত্যেকে পাবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক। জাতীয় পর্যায়ে তিনটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে একটি করে কম্পিউটার।
আয়োজকদের মতে, মার্কস অলরাউন্ডার শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা, মেধা, সংস্কৃতি ও আত্মবিশ্বাস বিকাশের একটি অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এই আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের জন্য হয়ে উঠেছে শেখার, নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার এবং ভবিষ্যতের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।
বিস্তারিত জানতে এবং রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করতে হবে। ফোন করা যাবে (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) ০৯৬১৪৫১৬১৭১ নম্বরে।