অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জের কোনো শেষ নেই: চরমোনাই পীর
Published: 29th, May 2025 GMT
চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে চ্যালেঞ্জের মুখে। এই চ্যালেঞ্জের কোনো শেষ নেই। ভারত শকুনের দৃষ্টিতে প্রতিটি মুহূর্ত বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে– কখন খাবলে খাবে। তাদের দালালরাও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সুযোগের অপেক্ষায় ঘাপটি মেরে বসে আছে।
গতকাল বুধবার দিনাজপুরের ইনস্টিটিউট মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ আমির বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শেষ নেই। এই অবস্থায়ও এক দল নেমেছে ত্বরিত নির্বাচনের জন্য। সংস্কারের কথা তাদের কোনো আলোচনায় দেখি না। খুনি, গুমকারী, টাকা পাচারকারীদের বিচারের বিষয়ে তেমন কোনো গুরুত্ব দিতে দেখি না। শুধু আমরা নির্বাচন, নির্বাচন বলতে শুনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দিনাজপুর দক্ষিণের সভাপতি নূর আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও দিনাজপুর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ খাইরুজ্জামানের সঞ্চালনায় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুনতাছির আহমাদ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চরম ন ই প র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’