ভারতীয় পরিচালক রণো মুখোপাধ্যায় মারা গেছেন
Published: 29th, May 2025 GMT
ভারতীয় নির্মাতা রণো মুখোপাধ্যায় মারা গেছেন। ৮৩ বছর বয়সে গতকাল বুধবার মুম্বাইয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এনডিটিভি জানিয়েছে, হৃদ্রোগে এই নির্মাতা মারা গেছেন। গতকালই তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। রণো মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে শর্বাণী মুখোপাধ্যায়ও একসময় অভিনয় করতেন। এ ছাড়া রণো মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে অভিনেত্রী কাজল, তানিশা মুখোপাধ্যায়, রানী মুখোপাধ্যায় ও নির্মাতা অয়ন মুখোপাধ্যায়ের চাচা।
রণো মুখোপাধ্যায় ‘হায়ওয়ান’ (১৯৭৭) ও ‘তু হি মেরি জিন্দেগি’ (১৯৬৫) ছবির জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁর শেষকৃত্যে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তনুশ্রী মুখোপাধ্যায় ও নির্মাতা অয়ন মুখোপাধ্যায়কে দেখা গেছে।
তবে নতুন সিনেমা ‘মা’-এর প্রচারে ব্যস্ত থাকায় ছিলেন না কাজল। অন্যান্য বলিউড তারকার মধ্যে নির্মাতা আশুতোষ গোয়ারিকরও শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন। দেব মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে সুনীতা গোয়ারিকরের স্বামী আশুতোষ।
চলতি বছর এ নিয়ে মুখোপাধ্যায় পরিবারের দ্বিতীয় প্রবীণ ব্যক্তির মৃত্যু হলো। গত ১৪ মার্চ মৃত্যু হয় অয়ন মুখোপাধ্যায়ের বাবা দেব মুখোপাধ্যায়ের।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’