ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হলে মুখে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়
Published: 29th, May 2025 GMT
ফ্যাটি লিভার হলো এমন এক অবস্থা যেখানে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আবার দু’ভাগে বিভক্ত– অ্যালকোহলিক ও নন-অ্যালকোহলিক। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হওয়ার মূল কারণ হলো মদ্যপান। তবে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার অ্যালকোহল সেবনের সঙ্গে যুক্ত নয়। যে কারও এ সমস্যা হতে পারে। সাধারণত অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলকায় ব্যক্তিদের মধ্যে এই অবস্থা বেশি দেখা যায়। ফ্যাটি লিভারের লক্ষণগুলি খুব স্পষ্ট নাও হতে পারে । কেউ কেউ এসব লক্ষণকে নিয়মিত সমস্যা বলে এড়িয়ে যান। তবে, ঘন ঘন এমন হলে পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ । প্রাথমিক অবস্থায় রোগ সনাক্ত গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া যায়। ফ্যাটি লিভার রোগের এমন কিছু লক্ষণ আছে যা মুখে ফুটে উঠে। যেমন-
ডার্ক সার্কেল
পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও অনেক সময় মুখে ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়। সাধারণত লিভার যখন কার্যকরভাবে বিষাক্ত পদার্থগুলিকে বের করতে পারে তখন চোখের নীচে কালচে বা ফোলাভাব দেখা দেয়।
ত্বকের রঙ হালকা
চোখের ত্বকে বা সাদা অংশে হলুদ ভাব জন্ডিসের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত লিভার ঠিকভাবে কাজ না করলে বিলিরুবিন জমা হওয়ার কারণে এমন হয়।
ফোলাভাব
চোখ এবং গালের চারপাশে ফোলাভাব লিভারের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
ফ্যাকাশে বা নিস্তেজ ত্বক
ফ্যাটি লিভার রক্তের ডিটক্সিফিকেশনে বাধা দেয়, যার ফলে বর্জ্য পদার্থ রক্তপ্রবাহে জমা হতে পারে। এর ফলে ত্বক ফ্যাকাশে, ফ্যাকাশে বা নিস্তেজ দেখায়।
ব্রণ বা তৈলাক্ত ত্বক
লিভার অতিরিক্ত কাজ করলে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হতে পারে। এর ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে এবং ব্রণ দেখা দেয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’