ফ্যাটি লিভার হলো এমন এক অবস্থা যেখানে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আবার দু’ভাগে বিভক্ত– অ্যালকোহলিক ও নন-অ্যালকোহলিক। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হওয়ার মূল কারণ হলো মদ্যপান। তবে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার অ্যালকোহল সেবনের সঙ্গে যুক্ত নয়। যে কারও এ সমস্যা হতে পারে। সাধারণত অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলকায় ব্যক্তিদের মধ্যে এই অবস্থা বেশি দেখা যায়। ফ্যাটি লিভারের লক্ষণগুলি খুব স্পষ্ট নাও হতে পারে । কেউ কেউ এসব লক্ষণকে নিয়মিত সমস্যা বলে এড়িয়ে যান। তবে, ঘন ঘন এমন হলে পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ । প্রাথমিক অবস্থায় রোগ সনাক্ত গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া যায়। ফ্যাটি লিভার রোগের এমন কিছু লক্ষণ আছে যা মুখে ফুটে উঠে। যেমন-

ডার্ক সার্কেল
পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও অনেক সময় মুখে ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়। সাধারণত লিভার যখন কার্যকরভাবে বিষাক্ত পদার্থগুলিকে বের করতে পারে তখন চোখের নীচে কালচে বা ফোলাভাব দেখা দেয়।

ত্বকের রঙ হালকা
চোখের ত্বকে বা সাদা অংশে হলুদ ভাব জন্ডিসের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত লিভার ঠিকভাবে কাজ না করলে বিলিরুবিন জমা হওয়ার কারণে এমন হয়।

ফোলাভাব
চোখ এবং গালের চারপাশে ফোলাভাব লিভারের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে। 

ফ্যাকাশে বা নিস্তেজ ত্বক
ফ্যাটি লিভার রক্তের ডিটক্সিফিকেশনে বাধা দেয়, যার ফলে বর্জ্য পদার্থ রক্তপ্রবাহে জমা হতে পারে। এর ফলে ত্বক ফ্যাকাশে, ফ্যাকাশে বা নিস্তেজ দেখায়। 

ব্রণ বা তৈলাক্ত ত্বক
লিভার অতিরিক্ত কাজ করলে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হতে পারে। এর ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে এবং ব্রণ দেখা দেয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ