বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে তাকে বোর্ড পরিচালক এবং পরে সভাপতি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দেশের ক্রিকেটে কাজের সুযোগ পাওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন বুলবুল। কাজ করার আগ্রহ তারও রয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত—রাইজিংবিডিকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

পারিবারিক কাজে ঢাকায় এসেছেন বুলবুল। আইসিসিতে কর্মরত এই সাবেক ক্রিকেটার বিসিবিতে যোগ দিলে অবৈতনিক ছুটিতে যাবেন। দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকার ইচ্ছে নেই তার। তিনি চান স্বল্প সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ছাপ রেখে যেতে।

আরো পড়ুন:

সাকিবের সঙ্গে বিসিবির সম্পর্ক ‘শেষ নয়’

সাতাশ পর্যন্ত টেইট বাংলাদেশের

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) মুঠোফোনে বুলবুল বলেন, “যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েকদিন আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল যে, আমি কাজ করতে রাজি কি না। আমি বলেছি—দেশের ক্রিকেটের যেকোনো কাজেই আমি প্রস্তুত আছি।”

বুলবুলের দাবি, তাকে প্রথমে বোর্ড পরিচালক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার তাকে সভাপতি হিসেবে চাইছে। তবে হঠাৎ করে সভাপতি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি রয়েছে, যেমনটি অতীতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রে দেখা গেছে।

ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করলে বুলবুলের পথ অনেকটাই সুগম হয়ে যেতে পারে। তবে এসব নিয়ে ভাবিত নন তিনি, “আমি কিভাবে আসবো, সেই পথটা সরকার নির্ধারণ করবে। সরকারই হবে আমার নিয়োগদাতা। কিভাবে নিয়োগ দেবে, সেটা তাদের বিষয়। আমি এমন কেউ না যে দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করে আমাকে নিয়োগ দিতে হবে।”

বর্তমানে আইসিসির এশিয়া অঞ্চলের ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত বুলবুল বলেন, “আইসিসিতে আমি পূর্ণকালীন চাকরিজীবী, ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করি। যদি বিসিবিতে যোগ দেই, তাহলে বেশিদিন থাকা সম্ভব নয়। আমাকে নিজের কাজের কথাও মাথায় রাখতে হবে। বিসিবির দায়িত্ব শেষে আবার আইসিসিতে ফিরতে পারবো।”

৫৭ বছর বয়সী আমিনুল ইসলাম বুলবুল সম্ভাব্যভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে আসছেন, এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ত ক জ কর সরক র আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার

শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ