রাশিয়া–ইউক্রেন সোমবার আবারও আলোচনায় বসছে
Published: 29th, May 2025 GMT
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে আবারও শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। আগামী সোমবার এই বৈঠক হওয়ার কথা। আলোচনার আগেই সংলাপের দরজা বন্ধ না করতে দেশ দুটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দপ্তর এরদোয়ানকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘আমরা রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমরা তাদের বলছি, যতক্ষণ দরজা খোলা থাকে, ততক্ষণ তা বন্ধ করা উচিত নয়।’
গতকাল বুধবার রাশিয়া জানিয়েছে, আগামী সোমবার ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় বসতে চায় তারা। এ সময় তারা একটি শান্তি প্রস্তাব উপস্থাপন করবে। তবে কিয়েভ জানিয়েছে, ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য তারা ওই প্রস্তাব আগেভাগেই দেখতে চায়।
এরদোয়ান আরও বলেন, ‘প্রতিটি আলোচনার সময় আমরা অংশীদারদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যেন তারা এই সুযোগ হাতছাড়া না করে। আমাদের অঞ্চলে (ইউরোপ) ছড়িয়ে পড়া এই বিশাল আগুন নেভানো একটি মানবিক দায়িত্ব।’
আরও পড়ুনতিন বছর পর আবার মুখোমুখি আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন১৬ মে ২০২৫এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান গত সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে গত সোমবার সাক্ষাৎ করেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আজ বৃহস্পতিবার কিয়েভ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর তিন বছর পর ১৬ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে প্রথমবারের মতো শান্তি আলোচনায় বসেন রাশিয়া–ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। তবে ওই আলোচনায় যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত রস ক র প ইউক র ন র স মব র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’