তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে আবারও শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। আগামী সোমবার এই বৈঠক হওয়ার কথা। আলোচনার আগেই সংলাপের দরজা বন্ধ না করতে দেশ দুটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দপ্তর এরদোয়ানকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘আমরা রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমরা তাদের বলছি, যতক্ষণ দরজা খোলা থাকে, ততক্ষণ তা বন্ধ করা উচিত নয়।’

গতকাল বুধবার রাশিয়া জানিয়েছে, আগামী সোমবার ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় বসতে চায় তারা। এ সময় তারা একটি শান্তি প্রস্তাব উপস্থাপন করবে। তবে কিয়েভ জানিয়েছে, ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য তারা ওই প্রস্তাব আগেভাগেই দেখতে চায়।

এরদোয়ান আরও বলেন, ‘প্রতিটি আলোচনার সময় আমরা অংশীদারদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যেন তারা এই সুযোগ হাতছাড়া না করে। আমাদের অঞ্চলে (ইউরোপ) ছড়িয়ে পড়া এই বিশাল আগুন নেভানো একটি মানবিক দায়িত্ব।’

আরও পড়ুনতিন বছর পর আবার মুখোমুখি আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন১৬ মে ২০২৫

এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান গত সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে গত সোমবার সাক্ষাৎ করেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আজ বৃহস্পতিবার কিয়েভ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর তিন বছর পর ১৬ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে প্রথমবারের মতো শান্তি আলোচনায় বসেন রাশিয়া–ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। তবে ওই আলোচনায় যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত রস ক র প ইউক র ন র স মব র

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ