বাংলাদেশের প্রশাসনিক বিষয়গুলো সামলানোর দায়িত্ব দেশটির সরকারের। এসব বিষয়ে ভারতকে দোষারোপ করলে সমস্যার সমাধান হবে না। বৃহস্পতিবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ সরকারকে আমি বলব তাদের দেশের গভর্ন্যান্স বা প্রশাসনিক ইস‍্যুগুলো সামলানোর দায়িত্ব তাদেরই। অন্য দেশকে দোষারোপ করলে সমস্যার সমাধান হবে না।”

সম্প্রতি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে দেশ বড় সংকটের মধ্যে রয়েছে। এ জন্য পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার বলে প্রধান উপদেষ্টা মনে করছেন।’

এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্রের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “এমন পরিস্থিতিতে, যদি কেউ বলে যে বাইরের কারণ বা অন্য কেউ এই অস্থিরতার জন্য দায়ী, তাহলে মনে হচ্ছে তারা আসল সমস্যা থেকে মনোযোগ সরিয়ে অন্যদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। এই ধরনের বক্তব্য সমস্যার সমাধান করে না; এগুলি জবাবদিহিতা এড়ানোর প্রচেষ্টা বলে মনে হয়।”

জয়সওয়াল বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনের বিষয়েও কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছা ও ম্যান্ডেট নিশ্চিত করা।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ