১. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট 

চায়ে, বিশেষ করে গ্রিন–টিতে থাকে এপিগ্যালোকেটেচিন-৩-গ্যাল্যাট ধরনের খুবই উন্নত মানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এবং অ্যান্টি-এজিংয়ে অত্যন্ত সহায়ক।

২. হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়

যাঁরা প্রতিদিন ২ কাপ চা (যার মধ্যে ১ কাপ অবশ্যই গ্রিন টি) খান, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকসহ বিভিন্ন হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক ও অন্যান্য কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কম থাকে।

৩.

শিরা-উপশিরার কার্যকারিতা ও প্রদাহ প্রতিরোধে

প্রতিদিন অন্তত ১ কাপ রং–চা (সর্বাধিক উপকার পেতে চিনি ছাড়া চা) খেলে ধমনি ও শিরা-উপশিরার কার্যকারিতা বাড়ায় ও প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে।

আরও পড়ুনঠান্ডা চা অথবা কফি শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর ২১ এপ্রিল ২০২৫প্রতিদিন অন্তত ১ কাপ রং–চা খেলে ধমনি ও শিরা-উপশিরার কার্যকারিতা বাড়ায়

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ