বন্দরে জামিনে বেরিয়ে বাদীকে হত্যার হুমকি
Published: 29th, May 2025 GMT
বন্দরে নিরীহ ব্যবসায়ীর বসত ৫টি ঘর ও স্বর্ণালংকারসহ ১৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতিসাধণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত শনিবার রাত ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদের পুত্র আল আমিন বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন। যার নং ২৭(৫)২০২৫ইং।
মামলায় শাহিদা ও তার স্বামী শাহাদাৎ এবং পুত্র মোঃ আলী অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০জনকে আসামী করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়,বিবাদীদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ সংক্রান্তে আদালতে মামলাও বিচারাধীন রয়েছে।
এর জের ধরে উল্লেখিতরাসহ ৪০/৫০জন একজোট হয়ে যথাক্রমে রামদা চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১২ মে দুপুরে রুস্তমপুর খালপাড় এলাকাস্থ বাদী আল আমিনের বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে ঘরের লোকজনকে বেদম মারপিট করে গুরুতর জখম করে।
এ সময় শাহাদাৎ আল আমিনের স্ত্রী মাহমুদার গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন,২নং বিবাদী শাহিদা ঘরের আলমিরার ড্রয়ারে থাকা নগদ ৫লাখ টাকা নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় শাহিদা-শাহাদাৎ ও তাদের ভাড়াটে গুন্ডারা ২টি বড় ও ২টি ছাপড়া ঘর এবং ঘরের প্রায় পৌণে ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
হামলাকারীদের ভয়ে নিরীহ আল আমিনের পরিবারের সদস্যরা ডাকা চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে অবস্থা বেগতিক বুঝে দ্রুত সটকে পড়ে। পরে আহত মাহমুদা ও ফালানী বেগমকে ধরাধরি করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
এদিকে রোববার রাতে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য গেলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। বাদী জানান,বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর আরিফ আসামীদেরকে গোপনে তথ্য দেয়ার কারণে তারা পালাতে সক্ষম হয়।
দারোগার সহযোগিতায় শাহিদা,তার স্বামী ও পুত্র আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। একজন আইনের লোক হয়ে মামলার আসামীদের পালাতে সহায়তার বিষয়টি সর্বমহলেই সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করছে। বাদী আল আমিন দারোগা আরিফের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে শাহিদা-শাহাদাৎ গং জামিনে মুক্ত হয়ে বর্তমানে নিরীহ আল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ভয়ে বর্তমানে বাদী আল আমিন,ভূমি মালিক রশীদসহ পরিবারের সকল সদস্যরা আতংকে দিন কাটাচ্ছে। তারা শাহিদা গংয়ের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
মনোনয়ন দৌড়ে এবারও হেরে গেলেন মনির খান
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান— যার কণ্ঠে প্রেম, ব্যথা আর প্রার্থনার সুরে ভেসেছে একটি প্রজন্ম। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী শুধু গানে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনির খান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি তার। সেই আসনে দল মনোনয়ন দিয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা
মনোনয়ন না পেলেও মনির খান প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।”
শিল্পীর এই পোস্টে প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। রাজনীতিতেও তার সংযম ও সৌজন্যতা তুলে ধরেছেন অনেকেই।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষপর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনো শিল্পী বা অভিনেতার নাম নেই। মনির খানের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশি আলোচিত ছিলেন নায়ক উজ্জ্বল ও হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও বেবী নাজনীন।
ঢাকা/রাহাত/রাসেল