শর্তসাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কথামতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিতে রাজি হতে পারে ইরান। পারমাণবিক আলোচনা সম্পর্কে অবগত দুই ইরানি কর্মকর্তা বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। তেহরানের জব্দকৃত বৈদেশিক অর্থ ছেড়ে দিলে ও বেসামরিক কাজে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার মেনে নিলে চলমান পারমাণবিক কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ দিতে পারে, বলেছেন তারা। 

রয়টার্স জানায়, ওয়াশিংটন যদি তেহরানের শর্ত মেনে নেয়, তবে শিগগিরই রাজনৈতিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে একটা সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে। এর মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যৎ আলোচনার দ্বার উন্মোচিত হতে পারে। তবে এই বিষয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে এখনও আলোচনা হয়নি বলেছেন এক কর্মকর্তা।

তারা দাবি করছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের শর্ত মেনে নিলে এক বছরের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত রাখবে ইরান। আর ইতোমধ্যে সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়াম হয় তারা বিদেশে পাঠিয়ে দেবে, নইলে বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য জ্বালানিতে রূপান্তর করবে।

আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ইরানে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকতে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ, পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে। বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি নেতানিয়াহুকে বলেছি, এখনই হামলা করা ঠিক হবে না, কারণ আমরা সমাধানের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।  

এদিকে বুধবার নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান আলোচনায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে নেতানিয়াহুর দপ্তর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউর ন য় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ