শর্তসাপেক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচি স্থগিত রাখবে ইরান
Published: 30th, May 2025 GMT
শর্তসাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কথামতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিতে রাজি হতে পারে ইরান। পারমাণবিক আলোচনা সম্পর্কে অবগত দুই ইরানি কর্মকর্তা বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। তেহরানের জব্দকৃত বৈদেশিক অর্থ ছেড়ে দিলে ও বেসামরিক কাজে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার মেনে নিলে চলমান পারমাণবিক কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ দিতে পারে, বলেছেন তারা।
রয়টার্স জানায়, ওয়াশিংটন যদি তেহরানের শর্ত মেনে নেয়, তবে শিগগিরই রাজনৈতিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে একটা সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে। এর মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যৎ আলোচনার দ্বার উন্মোচিত হতে পারে। তবে এই বিষয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে এখনও আলোচনা হয়নি বলেছেন এক কর্মকর্তা।
তারা দাবি করছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের শর্ত মেনে নিলে এক বছরের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত রাখবে ইরান। আর ইতোমধ্যে সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়াম হয় তারা বিদেশে পাঠিয়ে দেবে, নইলে বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য জ্বালানিতে রূপান্তর করবে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ইরানে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকতে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ, পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে। বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি নেতানিয়াহুকে বলেছি, এখনই হামলা করা ঠিক হবে না, কারণ আমরা সমাধানের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।
এদিকে বুধবার নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান আলোচনায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে নেতানিয়াহুর দপ্তর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউর ন য় ম
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী